สารบัญ:
- সৌন্দর্য্যবাড়ানোরঘরোয়াউপায় - เคล็ดลับความงามตามธรรมชาติในเบงกาลี
- 1. ঘিবা“ ঘৃত” (আয়ুর্বেদীয়উচ্চারণ)
- 2. হলুদ
- 3. নারকলতেল
- 4. মধু
- 5. লেবু
- 6. আদা
- 7. মরিচ
- 8. বেসন
- 9. তিলের তেল
- 10. দুধ
সুন্দর, উজ্বল, চকচকেত্বকসবমানুষেরস্বপ্ন। প্রাকৃতিকসৌন্দর্যেরপ্রতিমানুষযেমনচিরকালআকৃষ্টহয়, তেমনিসুন্দরত্বকেরঅধিকারিণীওখুবইসহজেমানুষেরমনেস্থানকরেনেয়। কথায়বলেনা, সুন্দরমুখেরজয়সর্বত্র। । আরবর্তমানদূষণওচাহিদাপূর্ণজীবনে, ত্বকেরযত্নআবশ্যক।
এছাড়াওত্বকসুন্দরথাকলেকোনরকমপ্রসাধনীরব্যবহারছাড়াইআপনাকেঅনেকআকর্ষণীয়লাগে। রাস্তায়, বাসে-ট্রামে, অফিসেবালোকালয়েএমনএকেকজনকেদেখাযায়, যাদেরত্বকঅন্যদেরতুলনায়অনেকটাইউজ্বল। তখনহয়তআপনিওমনেকরেন, যদিতেমনত্বকআপনারওহত। আরচিন্তানেই। আজআমিএইপ্রতিবেদনটিরমাধ্যমেআপনাদেরজন্যত্বকসম্বন্ধিতএমনঅনেকজরুরিটিপস্শেয়ারকরবোযারসঠিকব্যবহারেআপনারত্বকওকথা। এবংবিশ্বাসকরুনএইসবকরতেকোনবিউটিপার্লারযাবারবাঅযথাদামীরূপচর্চারসামগ্রীকিনেপয়সানষ্টকরারদরকার। চলুনআজআামরাকথাবলিসেইউপকরণগুলিনিয়েযাআমাদেররান্নাঘরেমজুতথাকলেওতারগুণাগুণসম্পর্কেআমরাঅনেকেইওয়াকিবহাল।
সৌন্দর্য্যবাড়ানোরঘরোয়াউপায় - เคล็ดลับความงามตามธรรมชาติในเบงกาลี
রঙবেরঙেরবিজ্ঞাপনদেখেলোভেপরেহয়তকখনোআমরানানানধরনেরসৌন্দর্যসামগ্রীফেলি। কিন্তুএটাচিন্তাকরিনাযেজিনিসটাআমাদেরত্বকেরজন্যউপযুক্তকিনা! হয়তক্ষণিকেরজন্যতাত্বকেকিছুটাউপকারকরলেও, তাতেব্যবহৃতক্ষতিকারকপদার্থবাকেমিকেলকিছুদিনেরপরথেকেত্বকেরউপরপ্রভাববিস্তারকরতেশুরুকরে। যারফলেপঁচিশপেরোনোরপরেইত্বকেরস্বাভাবিকউজ্জ্বলতানষ্টহয়েযায়।
তাইকেননাএইসববাজারচলতিজিনিসেরবদলেঘরোয়াভাবেত্বকেরযত্ননেওয়াযাক, তাতেত্বকযেমনকেমিকেলেরবিষাক্তপ্রভাবথেকেরেহাইপাবেআরঅতিরিক্তখরচকরারওপ্রয়োজনপরবেনা।
1. ঘিবা“ ঘৃত” (আয়ুর্বেদীয়উচ্চারণ)
ภาพ: Shutterstock
বাঙ্গালীহয়েগরমভাতেঘিখায়নি, তাবিশ্বাসকরাযায়না। আমাদেরমা - ঠাকুমাদেরবলতেশুনবেনযেঘিখেলেত্বকেরউজ্বলতাবৃদ্ধিপায়। কারণআগেকারদিনেআমাদেরমা - ঠাকুমাদেরপ্রধানরূপচর্চারউপকরণইছিলঘি। আসুনআজবৈজ্ঞানিকতথ্যনাড়াচাড়াকরেজেনেনেওয়াযাকমা-ঠাকুমাদেরবলাএইকথাগুলোকতটাসঠিক।
ভালোমশ্চারাইজারহিসেবেব্যবহার - ঘিএরমধ্যেথাকাফ্যাটিঅ্যাসিডত্বকেরস্বাভাবিকআর্দ্রতাবজায়রাখতেসাহায্যকরে। সুতরাংত্বকেরপক্ষেএকটিখুবভালোময়েশ্চারাইজারহলঘি। শুষ্কত্বক, খসখসেত্বকইত্যাদিসমস্যায়ভালোভাবেঘিয়েরমাসাজেত্বকহয়েওঠেমোলায়েমওসুন্দর বার্ধক্যজনিতদাগ, মেচেদারছোপ, কালচেভাবইত্যাদিদূরকরতেওঘিয়েরমাসাজখুবইপ্রয়োজন
চুলেরসমস্যায়ঘিএরব্যবহার - শুষ্ক, উস্কো-খুস্কোচুলএরক্ষেত্রেনারকেলতেলবাঅলিভঅয়েলেরসাথেসামান্যঘিমিশিয়েতাচুলেলাগালেচুলসিল্কিওমোলায়েমহয়এবংসাদাচুলেরসমস্যাসমস্যারেহাইরেহাইপাওয়াযায়
শীতেশুষ্কঠোঁটেরসমস্যারোধে - শীতেশুষ্কঠোঁটসবারইসমস্যা। ঠোঁটফেটেযাওয়া, ঠোঁটেরচামড়াউঠেগিয়েরক্তবারহওয়াইত্যাদিরোধেঠোঁটেরওপরঘিহালকাভাবেম্যাসাজকরতে। ঘিয়েরতেলতেলেভাবঠোঁটেরচামড়ারওপরএকটিস্তরতৈরিকরেএবংশীতকালেরআর্দ্রতাথেকেঠোঁটকেসুরক্ষাপ্রদান।।
পাফাটারসমস্যারোধে - অনেকেরশুধুশীতকালেপাফাটে, কারওকারওআবারসারাবছরইপাফাটারসমস্যাদেখতেপাওয়াযায়। এক্ষেত্রেরাতেশোবারসময়ঘিয়েরনিয়মিতমাসাজেপাফাটারসমস্যাপ্রতিরোধকরা।
2. হলুদ
আপনিকিজানেনহলুদহলোসবমশলাররানী? প্রাচীনকালথেকেইনানানকাজেহলুদেরব্যবহারকরাহয়েআসছে। এমনকিহলুদকেঅতিপবিত্রএকটিউপকরণহিসেবেধরাহয়যারমধ্যেঅনেকমহাঔষধিরবর্তমান। সমীক্ষায়জানাগেছেযেনিয়মিতএকটুকরোহলুদেরসেবনেমাউথক্যান্সারবামুখেরকর্কটরোগহয়। বিশুদ্ধহলুদতারঅ্যান্টিসেপটিক, বিরোধীপ্রদাহজনকএবংজীবাণুমুক্তবৈশিষ্ট্যরজন্যসুপরিচিত। আসুনজেনেনেওয়াযাকআপনারসৌন্দর্যবৃদ্ধিতেহলুদকিভাবেব্যবহারকরাযেতে।
ব্রণপ্রতিরোধে - অনিয়মিতজীবনযাপনএবংঅস্বাস্থ্যকরখাদ্যগ্রহণকরারফলেব্রণআজকালকারএকটিঅতিসাধারণসমস্যা। সাধারণতকমবয়সীছেলেমেয়েদেরমধ্যেএইসমস্যাবেশিপরিমাণেদেখতেপাওয়াযায় ।এছাড়াও কিছুহরমোনালকারণ, বাইরেরধূলোবালি, তৈলাক্তত্বকব্রণহওয়ারজন্যদায়ী। কারণসেযাইথাকুকনাকেনহলুদেরমধ্যেথাকাকিছুবিশিষ্টউপকরণএইসমস্যারপ্রতিরোধেখুবভালোকাজ।
ব্যবহারবিধি
- l হলুদগুঁড়োরসাথেএকচামচলেবুররসমিশিয়েএকটিপ্যাকতৈরিকরেতাশুধুমাত্রব্রণেরওপরলাগান।
- l শুকিয়েগেলেজলদিয়েধুয়েনিন ।হলুদের মধ্যেথাকাঅ্যান্টিসেপটিকগুণগুলিব্রণসংক্রমণপ্রতিরোধকরেএবংলেবুরমধ্যেথাকাব্লীচিংগুণাগুণব্রণেরদাগদূরকরে।
- মুখেরলোমওঠাতেসাহায্যকরে - মুখেএরকমকিছুঅবাঞ্ছিতলোমথাকেযামুখকেকরেতোলেদৃষ্টিকটু।
অনেককেতাইথ্রেডিংবাওয়্যাক্সিংএরপন্থাঅবলম্বনকরে। এক্ষেত্রেওহলুদেরনিয়মিতব্যবহারলাভদায়ক।
ব্যবহারবিধি
- l হলুদেরসাথেসামান্যজলমিশিয়েএকটিপুরুমিশ্রণতৈরিকরেঅবাঞ্ছিতলোমেরলাগান।
- l শুকিয়েগেলেলোমেরগ্রোথেরউল্টোদিকেমাসাজকরুন। দেখবেনঅবাঞ্ছিতলোমেরসমস্যাঅনেকটাইকমেগেছে।
- চোখেরতলায়কালোভাবএবংরিংকেলসকমায় - অত্যধিকচিন্তা, পরিশ্রমএবংবয়সবাড়ারসাথেসাথেএইসমস্যাগুলোরআমাদেরসবাইকেইসম্মুখীনহতেহয়। এক্ষেত্রেওহলুদকাজেলাগে।
ব্যবহারবিধি
- l হলুদেরসাথেমাখনএবংআখেররসমিশিয়েপেস্টতৈরীকরুন।
- l রাতেশোবারআগেমধ্যমারসাহায্যেচোখেরতলায়এবংসারামুখেভালোকরেকরুন।
3. নারকলতেল
ภาพ: Shutterstock
আদিঅনন্তকালধরেনারকেলতেলচুলেরপুষ্টিরজন্যব্যবহারকরাহয়েথাকে ।কিন্তু আজআমরাজানবোনারকোলতেলআমাদেরত্বকেরজন্যকিকিভাবেব্যবহারকরা।
মেকআপরিমুভারহিসেবেনারকেলতেলেরব্যবহার - আপনারাসারাদিনযাইকাজকরুননাকেন, রাতেশোবারআগেমেকআপতোলাটাখুবইদরকারএবংতারজন্যআমরানানানধরনেরবাজারচলতিমেকআপরিমুভারদামদিয়েকিনেথাকিথাকিঅথচআমাদেরবাড়িরমধ্যেইঅপূর্বপ্রাকৃতিকরিমুভাররিমুভারমজুদ।
ব্যবহারবিধি
- l রাতেশোবারআগেকয়েকফোঁটানারকেলতেলআপনারমুখেরওপরলাগান।
- l এরপরএকটিভেজাতুলোবাকাপড়দিয়েআলতোকরেমুখেরমেকআপতুলে।
- দেখবেনবাজারচলতিরিমুভারেরথেকেনারকেলতেলখুবভালকাজকরেএবংতাআপনারত্বককেভেতরথেকেপুষ্টিও।।
এক্সফলিয়েটরহিসেবেনারকেলতেলেরব্যবহার: - মুখেরমৃতকোষতুলেনতুনকোষতৈরিকরতেএক্সফলিয়েটরেরভূমিকাঅপরিসীম।
ব্যবহারবিধি
- এক্ষেত্রেনারকেলতেলেরসাথেবেকিংসোডামিশিয়েমুখেরউপরলাগানোযেতেপারে।
- এটিখুবভালস্ক্রাবেরকাজকরেতবেসেনসিটিভস্কিনেবেকিংসোডারব্যবহারনাকরেনারকেলতেলেরসাথেচিনিওব্যবহারকরতে।
শুষ্কত্বকেরযত্নেনারকেলতেলেরব্যবহার - যাদেরখুববেশিশুষ্কবাড্রাইস্কিনতাদেরস্নানেরপরচামড়াশুকিয়েযায় ।শীতকালে এসমস্যাবেশিদেখতেপাওয়াযায়। এক্ষেত্রেস্নানেরজলেরসাথেকয়েকফোঁটানারকোলতেলমিশিয়েব্যবহারকরলেশুষ্কত্বকেরসমস্যাথেকেঅনেকটাইরেহাইপাওয়া।।
ডার্কসার্কেলবাচোখেরতারারকালোদাগদূরকরতে - কাজেরপ্রেসারএরজন্যযদিডার্কসার্কেলআপনারএকটিসমস্যাহয়েথাকে, তাহলেরাতেশোবারআগেশুধুমাত্রনারকেলতেলখালিহাতেচোখেরতলায়মাসাজকরেশুয়েপড়ুনপড়ুন নারকোলতেলচোখেররক্তসঞ্চালনকেস্বাভাবিককরবেফলেকয়েকদিনেরমধ্যেইচোখেরতলারকালোভাবদূরহয়ে।।
4. মধু
প্রাচীনকালথেকেইমধুনানানকাজেব্যবহারকরাহয়েআসছে। প্রাচীনপুঁথিগুলিতেমধুরব্যবহারবিশেষভাবেউল্লেখিত। আজআমরাজানবত্বকেরযত্নেমধুরগুনাগুনএরকথা।
শুষ্কত্বকেমধুরব্যবহার - ভারতীয়শুষ্কত্বকেরজন্যমধুঅত্যন্তকার্যকরী। মধুরমধ্যেথাকামশ্চারাইজারত্বকেরশুষ্কতাকমিয়েত্বকেলাবণ্যআনে।
বার্ধক্যের চিহ্ন প্রতিরোধের জন্য – মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধর্মটি বার্ধক্যের চিন্হ হ্রাস করে ত্বককে করে তোলে লাবণ্যময়ী । এছাড়াও ফাটা ঠোঁট ও গোড়ালি তে মধু মাখলে সুফল পাওয়া যায়।
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে – মধু ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধ করে।
5. লেবু
পাতিলেবু আমাদের রান্নাঘরে সবসময়ই থাকে। শুধু খাদ্যে নয়, রূপচর্চায়ও লেবুর অবদান অনেক।
গায়ের রঙ ফর্সা করতে – আগেই বলা হয়েছে লেবুর মধ্যে থাকা ব্লিচিং গুণাগুনের জন্য ত্বকের কালচে ভাব দূর করা সহজেই সম্ভব ।
ব্যবহারবিধি
- l লেবুর রসের সাথে বেকিং পাউডার মিশিয়ে ব্রণের দাগ, ত্বকের কালচে ভাব, কনুই ও হাঁটুর কালচে ভাবের উপর লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- l সপ্তাহে অন্তত দুবার এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে ত্বকের কালচে ভাব থেকে খুব সহজেই রেহাই পাওয়া যায়।
স্ট্রেচ মার্কস দূরীকরণে – অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির ফলে বা গর্ভবতী মহিলাদের স্ট্রেচ মার্কস একটি খুব সাধারন সমস্যা । এই সমস্যা দূর করার জন্য লেবুর রস নিয়মিত মার্কসের উপর প্রয়োগ করলে স্ট্রেচ মার্কস এর দাগ হালকা হতে শুরু করে।
6. আদা
Image: Shutterstock
নিত্যদিনের রান্নায় একটি বহুল ব্যবহৃত উপাদান হলো আদা। ত্বকের ক্ষেত্রেও তার অবদান অপরিসীম। চলুন জেনে নেওয়া যাক আদা আমাদের ত্বকের ক্ষেত্রে কোন কোন ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।
হাইপারপিগমেন্টেশন প্রতিরোধে – হাইপেরপিগমেন্টেশন এর জন্য শ্রেষ্ঠ প্রতিষেধক হলো আদার রস । টাটকা আদার রস নিয়মিত দশ দিন ব্যবহারের ফলে আপনার হাইপেরপিগমেন্টেশন এর সমস্যা দূর হতে বাধ্য ।
প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে: আদার রস প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে অত্যন্ত কার্যকরী।
এছাড়াও ব্রণ রোধে আদার পাউডার এর সাথে দুধ দিয়ে একটি পেস্ট তৈরী করে মুখে লাগান৷ উজ্জ্বল ত্বক আপনার হাতের মুঠোয়।
অ্যান্টি-অক্সিডেণ্ট সমৃদ্ধ আদার রস বার্ধক্য রোধে সাহায্য করে।
7. মরিচ
সচরাচর রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য কালো মরিচের ব্যবহার করা হয় । কিন্তু আমাদের ত্বকের নানান সমস্যায়, জ্বর,সর্দি -কাশি ইত্যাদিতেও এই মশলা ব্যবহার করা হয়ে থাকে । চলুন আপনার রান্নাঘরে মজুত এই উপকরণটির গুণাগুণের কথায় এবার আসা যাক ।
গোলমরিচের মধ্যে ভরপুর মাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম,ভিটামিন কে,আয়রন এবং ফাইবার থাকে । এছাড়াও এর মধ্যে অপরিহার্য তৈল পিপেরাইন থাকে যা আরোমাথেরাপিতে, পাচন সমস্যা, বাতের ব্যাথা ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ রোগ প্রতিরোধ করতে, গায়ের ঘুষঘুষে জ্বর কমাতে ব্যবহৃত হয় ।
বার্ধক্যের ছাপ কমায় – নিত্যদিনের খাবারের সাথে গোলমরিচ বা কালো মরিচ সেবনে মুখের কালচে ভাব, বার্ধক্যজনিত চিহ্ন দূর করে এবং মুখের লাবণ্য বৃদ্ধি পায় ।
ত্বক এক্সফলিয়েশন – কালো মরিচ গুঁড়ো করে,দইয়ের সাথে মিশিয়ে মুখে এক্সফলিয়েট করুন । বাজারের ক্ষতিকর এক্সফলিয়েটর এর থেকে এটি অনেক কার্যকরী।
গায়ের রং হালকা করতে – গায়ের রঙ ফর্সা ও উজ্বল করতে গোল মরিচের সাথে মধু মিশিয়ে হাতে ও মুখে প্রয়োগ করুন ।
8. বেসন
আমাদের সবার ঘরেই বেসন আছে । সন্ধ্যে বেলার চপ হোক বা পুজোর বেসনের লাড্ডু, সাধারণ খাবার কে অসাধারণ বানাতে এর জুরি মেলা ভার । খাবারের এর সাথে সাথে এই বেশন রূপচর্চাতেও বহুল পরিমাণে ব্যবহার করা হয় ।
ত্বককে পরিষ্কার রাখতে – বেসন ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে । ঠাকুমা – দিদিমারা বলতেন বেসনের সাথে হলুদ মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল হয়।
সূর্যের তাপে পোড়া চামড়া ঠিক করতে – সানস্ক্রিন ব্যবহার না করার ফলে সূর্যের তাপে চামড়া পুড়ে যায় ।এই পোড়া ভাব দূর করতে বেসন এর সাথে লেবুর রস, এক-চামচ দুধ ও সামান্য হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে তা পোড়া দাগের উপর লাগালে অল্প দিনের মধ্যেই কালো ভাব দূর হয়ে আবার আগের রং ফিরে আসে।
উজ্জ্বল ত্বক পেতে – বেসনের মধ্যে থাকা স্কিন লাইটেনিন্ প্রপার্টিজ ত্বকের রঙ হালকা করতে সাহায্য করে । নিত্যদিনের সাবানের বদলে যদি সামান্য বেসন দিয়ে মুখ ধোয়া যায় তাহলে গায়ের রঙ উজ্বল হতে থাকে । তাই বাজারের সাবানের জন্য ফালতু খরচ না করে প্রতিদিন বেসন ব্যবহার করুন ।
বি.দ্র. – বেসন ত্বককে শুষ্ক করে দেয়, তাই ব্যবহারের পর যদি শুষ্কতার অনুভূতি হয় তাহলে ব্যবহার করার সময় বেসনের সাথে অলিভ ওয়েল বা নারকোল তেল ব্যবহার করুন । তেল ব্যবহার করার ফলে যেমন শুষ্কতা দূর হবে তেমনি ত্বকের ময়লা ভেতর থেকে পরিষ্কার হবে ।
9. তিলের তেল
Image: Shutterstock
তিলের তেল একটি অতি পরিচিত নাম। তিলের বীজ থেকে সাধারণত এই তেল পাওয়া যায় ।অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তিলের তেল আমাদের ত্বকের পক্ষে অনেক উপকারী । আসুন জেনে নেওয়া যাক তিলের তেল কিভাবে আমাদের ত্বকের কাজে লাগাতে পারি।
প্রদাহ হ্রাস করে – তিল তেলে প্রচুর মাত্রায় পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকার জন্য প্রদাহ রোধ করতে সাহায্য করে । এছাড়াও শীতকালে ত্বককে ছত্রাকজনিত সংক্র্মন থেকে রক্ষা করে।
ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে – তিল তেলের নিয়মিত মাসাজে ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়। দীপ্তিশীল ও দূষণমুক্ত ত্বক পেতে এর সাথে সামান্য জল এবং অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে রাতে ভালোভাবে আপনার ত্বকের উপর মাসাজ করুন এবং পরের দিন সকালে ভালো ক্লিনজার দিয়ে আপনার ত্বক পরিষ্কার করে নিন।
ত্বককে গুরুত্বপূর্ণ মশ্চারাইজার প্রদানে – কাটা, ছেঁড়া এছাড়াও ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে তিল তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যা কিনা ত্বককে ভেতর থেকে মশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে।
ত্বকের বলিরেখা দূর করতে – এই তেলের নিয়মিত মাসাজে ত্বকে বার্ধক্যের প্রভাব হ্রাস পেয়ে ত্বকের বয়স কম দেখায় ফলে আপনাকে দেখতে অনেক প্রাণবন্ত লাগে ।
পা ফাটা সমস্যার সমাধানে – যাদের পা ফাটার সমস্যা আছে, রাতের বেলা নিয়মিত এই তেলের ব্যবহারে পায়ের ফাটা ভাব দূর হয় এবং তা হয়ে ওঠে আরো মোলায়েম।
10. দুধ
প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় যে জিনিসটির অবধারিতভাবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে সেটি হলো দুধ । দুধের মধ্যে থাকা ল্যাকটিক আসিড ত্বক কে পরিষ্কার করতে, দাগ-ছোপ দূর করতে, উজ্বল ত্বক পেতে ব্যবহৃত হয়। আসুন দেখে নি সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য দুধ কি কি ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে:
টোনার হিসেবে দুধের ব্যবহার – সি.টি.এম. -এই পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজেই আকাঙ্ক্ষিত ত্বক পাওয়া যায়। সি এর অর্থ ক্লিন্সিং অর্থাৎ ত্বককে পরিস্কার করা । টি এর অর্থ টোনিং এবং এম এর অর্থ ময়শ্চারাইজিং । আমরা যদি আমাদের ত্বকের যত্নে নিত্যদিন এই রুটিন মেনে চলতে পারি তাহলে বয়স বাড়লেও ত্বকের বয়স বাড়বে না ।এবং ত্বকে উপস্থিত সমস্যারও সমাধান হবে । টোনার হিসেবে ঠান্ডা দুধ খুব ভালো কাজ করে ।
সামান্য দুধের মধ্যে তুলো ভিজিয়ে মুখ পরিষ্কার করে তা মুখের ওপর লাগান দেখবেন মুখের কালো ভাব,নোংরা – ময়লা ইত্যাদি এর মাধ্যমে উঠে আসছে ।
উজ্বল ত্বক পেতে দুধের প্যাক – সামান্য দুধের সাথে, 1 চা চামচ কাজু বাদাম বাটা, 1 চা চামচ গুঁড়ো কমলা লেবুর খোসা এবং কয়েক ফোঁটা অলিভ ওয়েল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরী করুন । উজ্বল, মোলায়েম ত্বক পেতে এই পেস্টের জুরি মেলা ভার ।
শুষ্ক ত্বকের দুধের প্যাক – শুষ্ক ত্বকের জন্য দুধ বরদান স্বরূপ । একটি চটকানো কলার সাথে 1 চামচ মধু ও সামান্য দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরী করুন । তা মুখের ওপর প্রয়োগ করে 15 মিনিট রেখে দিন । এরপর সাধারণ জলে ধুয়ে নিন্ ।
আশা করা যায় এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে ঘরোয়া জিনিসের ব্যবহারে সুন্দর ত্বক পাওয়া যে সম্ভব তা আজ আপনারা জানতে পারলেন । প্রাকৃতিক উপাদানের উপকার চিরকালই অপরিসীম । আমাদের উচিত এইসব উপাদানের ভরপুর লাভ ওঠানো । যেহেতু কোনরকম কেমিকেল ছাড়াই শুধুমাত্র প্রাকৃতিক জিনিসের ব্যবহারে সুন্দর ত্বক পাওয়া যায়, তাই এর প্রভাব ধীরে ধীরে সামনে আসে । এক্ষেত্রে অধৈর্য হলে চলবে না । আজকের আমাদের প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন এবং অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন । এছারাও কমেন্টের মাধ্যমে আপনার সুযোগ্য মতামত জানান ।