สารบัญ:
- জীরারউপকারিতা - ประโยชน์ของยี่หร่าในภาษาเบงกาลี
- স্বাস্থ্যেরজন্যজীরারউপকারিতা - ประโยชน์ต่อสุขภาพของยี่หร่าในภาษาเบงกาลี
- ১) হজমেসহায়তাকরেজীরা
- ২) সর্দি-কাশিকমাতেজীরারব্যবহার
- ৩) জীরাহললোহারঅন্যতমউৎস
- ৪) অনাক্রম্যতাপ্রদানেজীরারভূমিকা
- ৫) ওজনকমাতেজীরারভূমিকা
- ৬) রক্তশূন্যতাদূরীকরণেজীরারভূমিকা
- ৭) গাঁটেব্যথাকমাতেজীরারব্যবহার
- ৮) পেটেব্যথাকমাতেজীরারভূমিকা
- ৯) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জীরার ভূমিকা
- ১০) মাসিক ঋতুচক্র প্রক্রিয়ায় জীরার ভূমিকা
- ত্বকের যত্নে জীরার উপকারিতা – Skin Benefits of Cumin in Bengali
- ১১) উজ্জ্বল ত্বক পেতে জীরার ব্যবহার
- ১২) ত্বকের সমস্যায় জীরার ব্যবহার
- ১৩) বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূরীকরণে জীরার ভূমিকা
- ১৪) ব্রণ কমাতে জীরার ব্যবহার
- ১৫) ত্বকের চুলকানি রোধে এবং শরীরের তাপ কমাতে জীরার ভূমিকা
- ১৬) ত্বকের জ্বালা ভাব কমাতে জীরার ব্যবহার
- চুলের জন্য জীরার উপকারিতা :
- ১৭) চুল পড়া কমাতে জীরার ভূমিকা
- ১৮) জীরা ব্যবহার করে খুশকি দূর করুন
- ১৯) জীরার সাহায্যে চুল উজ্জ্বল করুন
- জীরার পুষ্টিগত মান – Cumin Nutritional Value in Bengali
- জীরা ব্যবহারের বিভিন্ন উপায় : How to Use Cumin in Bengali
- জীরার অপকারিতা গুলো জেনে নিন : Side Effects of Cumin in Bengali
আমাদেররান্নাঘরেমসলাজাতীয়উপাদানগুলিরমধ্যেহলুদ, লঙ্কারপরেইনামআসেজীরার। বলাযায়এইতিনজনহাতধরাধরিকরেরান্নাঘরেমাসেরপ্রথমেইচলেআসে। তবেকোনওএকটিনির্দিষ্টমসলাসম্পর্কেআমাদেরখুববেশিজানাহয়েওঠে। আসুনআজকেআমরারান্নাঘরেরঅন্যতমসুপরিচিতমসলাটিরগুনাগুনসম্পর্কেজেনেনি। জীরাযেকোনোরান্নাতেইব্যবহারকরাহয়। এরকারণহলএরগুনাগুন। এটিহজমেমুখ্যভূমিকাগ্রহণকরেথাকে। এরপাশাপাশিএটিঅ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরিবৈশিষ্ট্যযুক্তহওয়ায়সর্দি, জ্বরওওজনকমাতেসহায়তাকরে। জীরানানাভাবেআমাদেরশরীরেরওপরপ্রভাববিস্তারকরে। আজকেজেনেনেবদৈনন্দিনজীবনেজীরাআমাদেরকিপরিমানেব্যবহারকরাউচিতকিংবাকোনকোনক্ষেত্রেএটিব্যবহারকরাউচিতনয়। (১), (২)
জীরারবিজ্ঞানসম্মতনামসিউনিয়ামসাইমনাম। এটিএপিয়াসিপরিবারেরঅন্তর্গতউদ্ভিদ। এশিয়া, ইউরোপএবংআফ্রিকামহাদেশেরঅন্তর্গতজীরাচাষকরাহয়। জীরালিভার, ফুসফুসকিংবাহজমেরসমস্যারক্ষেত্রেগ্রহনযোগ্যঔষধগুলিরমধ্যেব্যবহৃতহয়ে। পৃথিবীরবহুজায়গায়জীরাদিয়েঔষধপর্যন্ততৈরিকরাহয়। জীরাহলএকধরনেরঅ্যান্টিসেপটিকএবংআন্টিহাইপার্টেনসিভএজেন্টসমৃদ্ধমসলা। জীরাবীজগুলিথেকেওলিওরেসিন, ট্যানিনসসমৃদ্ধতেলপাওয়াযায়।
এবারজেনেনিনজীরারমধ্যেথাকাসক্রিয়উপাদানগুলিআপনারস্বাস্থ্যেরক্ষেত্রেকিকিভাবেসাহায্যকরে?
জীরারউপকারিতা - ประโยชน์ของยี่หร่าในภาษาเบงกาลี
জীরাহজমেসহায়তাকারীঅন্যতমগুরুত্বপূর্ণএকটিমসলা। এছাড়াওএটিপেটেরফোলাভাবএবংজমেথাকাগ্যাসদূরকরতেসহায়তা। এরপাশাপাশিজীরাভেজানোজলখেলেওজনহ্রাসকরাসম্ভবহয়। জীরারবীজগুলিরক্তেকোলেস্টেরলেরমাত্রানিয়ন্ত্রণেরাখতেসাহায্যকরে। মূলতস্বাদওসুগন্ধযুক্তমসলাহিসেবেরান্নায়জীরারব্যবহারকরাহয়েথাকে। কখনোগুঁড়োকরেআবারকখনোজীরারবীজসরাসরিরান্নায়ব্যবহারকরাহয়ে। এটিখাবারেএকঅনন্যস্বাদআনতেসহায়তাকরে। এছাড়াওবিভিন্নওষুধতৈরিরক্ষেত্রেওজীরাব্যবহারকরাহয়েথাকে। (৩)
স্বাস্থ্যেরজন্যজীরারউপকারিতা - ประโยชน์ต่อสุขภาพของยี่หร่าในภาษาเบงกาลี
স্বাস্থ্যরক্ষায়জীরারভূমিকাঅনস্বীকার্য। একনজরেদেখেনিনএইছোট্টজীরারবীজগুলিআপনারশরীরেকিরকমভাবেপ্রভাববিস্তারকরেএবংআপনারস্বাস্থ্যসহায়কহয়ে।
১) হজমেসহায়তাকরেজীরা
Shutterstock
জীরাহলোহজমেসহায়ককারিঅন্যতমএকটিউপাদান। আমরাহজমেরজন্যযেওষুধগুলোখাইসেক্ষেত্রেঅধিকাংশতেইজীরারব্যবহারহয়েথাকে। এছাড়াওএটিপেটফাঁপাভাব, পেটেরভেতরবুদবুদকিংবাগ্যাসেরসমস্যাথেকেআমাদেরনিস্তারদেয় (৪)। জীরারসাথেমৌরি, আদাবিভিন্নউপাদানগুলিব্যবহারকরেপেটকেসুস্থরাখা। জীরারবীজগুলিলিভারকেসুস্থরাখতেসহায়তাকরে। লিভারথেকেঅ্যাসিডনিঃসরণকরেহজমেএবংশরীরেরশোষণক্ষমতায়এটিসহায়তাকরে, যারফলেশরীরেফ্যাটজমতেপারেনা। এছাড়াওএরমধ্যেথাকাঅ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরিউপাদানগুলিপেটেব্যথা, পেটেরমধ্যেজ্বালাভাবকিংবাপেটখারাপসংক্রান্তবিষয়গুলিনিয়ন্ত্রণকরতেসহায়তাকরে (৫), (৬)। গবেষণায়দেখাগিয়েছে,গর্ভবতীমহিলাদেরক্ষেত্রেসি-সেকশনডেলিভারিরপরেজীরারব্যবহারসমৃদ্ধখাবারখাওয়াউপকারী। কেননাজীরারমধ্যেথাকাউপাদানগুলিঅম্বলএবংপেটেরগ্যাসতৈরিহওয়াথেকেশরীরকেরক্ষাকরেএবংব্যথারওষুধহিসেবেকাজকরে। (৭)
কিভাবেব্যবহারকরবেন?
- এককাপজলনেবেন।
- তারমধ্যে ১ চামচজীরাযোগকরবেন।
- এবারএটিওভেনেবসিয়েদেবেনএবংঅল্পআঁচেমিশ্রনটিকে ৩০ মিনিটধরে।
- এইমিশ্রণটিদিনেতিনবারখাবার ১৫ মিনিটআগেখাবেন।
- এটিপেটথেকেগ্যাসসরিয়েহজমকেত্বরান্বিতকরতেসাহায্যকরবে। (৮)
২) সর্দি-কাশিকমাতেজীরারব্যবহার
জীরারমধ্যেথাকাঅ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়ালএবংঅ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরিবৈশিষ্ট্যগুলিসর্দিকাশিরজন্যঅসাধারণভূমিকাপালনকরে। ঘরোয়াঔষধহিসেবেজীরাকেব্যবহারকরাযেতেপারে। এটিযেকোনোধরনেরসংক্রমণকমিয়েএবংজীবানুনাশকরতেসহায়তাকরে। তাছাড়াওপেশীরকোনরকমটানকিংবাখিঁচুনিভাবকেদূরকরেসেটিসুস্থকরেতুলতেকরে। দীর্ঘদিনধরেচলাখুসখুসেকাশিকিংবাসর্দিনিরাময়েসহায়তাকরে।
কিভাবেব্যবহারকরবেন?
- ১ টেবিলচামচজীরাএকগ্লাসজলেদিয়েমিশ্রণটিঅল্পআঁচে ১৫ মিনিটধরেনিন।
- এইমিশ্রণেকিছুপরিমাণআদাযোগকরুন।
- এরপরসম্পূর্ণমিশ্রণটিভালোভাবেফুটিয়েনিয়েজলটিসংরক্ষণকরুন।
- দিনেদুইথেকেতিনবারএটিগ্রহণকরুন।
- সম্ভবহলেউষ্ণগরমথাকাকালীনএটিপানকরুন। তাহলেসর্দিএবংকাশিকমাতেএটিসহায়তাকরবে।
৩) জীরাহললোহারঅন্যতমউৎস
জীরাপ্রাকৃতিকভাবেআয়রনসমৃদ্ধএকটিউপাদান। ১ চা-চামচজীরাতেপ্রায় ১.৪ মিলিগ্রামলোহাথাকে। অধিকাংশেরক্ষেত্রেইদেখাযায়সঠিকপরিমাণেখাদ্যদ্রব্যগ্রহণকরলেওশরীরেলৌহেরথেকেইযায়। ধনীদেশগুলিরক্ষেত্রেওদেখাগিয়েছেপ্রতিএকহাজারমানুষেরমধ্যে ১০ জনেরশরীরেলোহারঘাটতি। বিশ্বেরমোটজনসংখ্যায়যাকুড়িশতাংশ। বিশেষতছোটশিশুথেকেপ্রাপ্তবয়স্কযুবকযুবতীঅধিকাংশেরশরীরেইলোহারঘাটতিরকারণেবহুরোগদেখা। শিশুদেরশরীরেলৌহেরঘাটতিহলেযথাযথভাবেতারবুদ্ধিরবিকাশঘটেনা। এছাড়াওযুবতীমহিলাদেরক্ষেত্রেলোহারঘাটতিদেখাদিলেতাঋতুস্রাবেরওপরপ্রভাবফেলে, তাইজীরাপ্রাকৃতিকলৌহসমৃদ্ধউপাদানহওয়ায়এটিকেলোহারঅন্যতমউৎসহিসেবেআমরাব্যবহারকরতেপারি যেকারণেপ্রত্যেকদিনেরখাদ্যতালিকায়জীরারাখাউচিত।
কিভাবেব্যবহারকরবেন?
- প্রতিদিনরান্নায়অল্পপরিমাণেজীরারগুঁড়োব্যবহারকরতেপারেন।
- সকালেখালিপেটেসারারাতজীরাভেজানোজলখেতেপারেন। এগুলিশরীরেলোহারঘাটতিপূরণকরতেসহায়তাকরবে।
৪) অনাক্রম্যতাপ্রদানেজীরারভূমিকা
শরীরেরযেকোনোধরনেরজীবাণুকিংবাব্যাকটেরিয়ারসাথেলড়াইকরেশরীরকেজীবাণুমুক্তকরতেকরেজীরা। জীরারবীজথেকেপ্রাপ্তবিভিন্নউপাদানগুলিশরীরেঅ্যান্টিসেপটিকএজেন্টহিসেবেকাজকরে। এরথেকেপ্রাপ্ততেলগুলিযেকোনোধরনেরজীবাণুকেধ্বংসকরে, সেটাকেনিরাময়করে। গবেষণায়দেখাগিয়েছে, জীরাশরীরেরযেকোনোধরনেরশক্তিশালীজীবাণুকেধ্বংসকরেশরীরেরঅনাক্রম্যতাগড়েতুলতেসহায়তাকরেযারফলেশরীররোগজীবাণুথেকেদূরেথাকতেসহায়কহয়। মূলতগবেষণায়দেখাগিয়েছে, জীরা, লবঙ্গ,দারচিনিজাতীয়মসলাগুলিতেঅ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়ালএবংঅ্যান্টি-ভাইরালবৈশিষ্ট্যগুলিরয়েছে। এজন্যএগুলিক্ষতিকারকছত্রাকেরহাতথেকেশরীরকেবাঁচাতেসহায়তাকরে। এছাড়াওজীরাশরীরেরভিটামিন-সিগ্রহণওবাড়িয়েতুলতেসাহায্যকরে। জীরারবীজেথাকাভিটামিনসিশরীরেররোগপ্রতিরোধক্ষমতাবৃদ্ধিতেসহায়তাকরে। যাদেরশরীরেরোগপ্রতিরোধকারীক্ষমতাকমেগিয়েছেতাদেরশরীরেরজন্যভিটামিনসি। ভিটামিনসিগ্রহণকরারজন্যআমরাজীরারব্যবহারকরতেপারি। (৯)
কিভাবেব্যবহারকরবেন?
- বিভিন্নখাবারেসরাসরিজীরারবীজদিতেপারেন।
- এছাড়াওজীরারবীজেরগুঁড়োবিভিন্নখাবারেকিংবাফলেরওপরছড়িয়েখেতেপারেন।
- এটিসরাসরিশরীরেগেলেঅনাক্রমতারউন্নয়নেসহায়তাকরবে।
৫) ওজনকমাতেজীরারভূমিকা
Shutterstock
জীরারউপকারিতাবহুক্ষেত্রেইআমাদেরচোখেপড়েছে, তবেতাওজনকমানোরক্ষেত্রেওমুখ্যভূমিকাগ্রহণকরেথাকে। মূলতস্থূলতা, ডায়াবেটিস, অস্টিওআর্থারাইটিসএরমতরোগগুলিসারাতেজীরামুখ্যভূমিকাগ্রহণকরে। ওজনকমানোরক্ষেত্রেমূলকার্যক্রমহলোসঠিকঅনুশীলনএবংএকটিসঠিকখাদ্য। তবেএরপাশাপাশিকিছুখাদ্যউপাদানআছেযেগুলিশরীরকেভেতরথেকেওজনকমাতেসহায়তাকরে, যারমধ্যেঅন্যতমজীরা (১০)। গবেষণায়দেখাগিয়েছে, জীরাখাওয়ারফলেশরীরেরখিদেকমেযায়। যারফলেসবসময়ক্ষুধাভাবলক্ষ্যকরাযায়নাএবংসবসময়খাবারপ্রবণতাকমলেশরীরবাড়তিক্যালরিগ্রহণকরবেনাএবংওজনকমাতেসহায়তাকরবে। গবেষণায়দেখাগিয়েছে, জীরাখাওয়ারফলেশরীরেরবডিমাসইন্ডেক্সকমতেথাকেযাশরীরেরবাড়তিফোলাভাবকমিয়েশরীরকেতন্বীকরেতুলতেসহায়তাকরে (১১)। বর্তমানযুগেরোগাছিপছিপেকোমরসকলেইচায়,তাইএকটুযদিআমরাআমাদেরখাদ্যতালিকায়নজররাখিএবংসেখানেবুদ্ধিনিয়েখাবারপরিকল্পনাকরিতাহলেসহজেইসেটাআমরাপেতে। দিনেযদিমাত্রতিনগ্রামকরেজীরারগুঁড়োখাওয়াযায়সেটিস্থূলতাকমানোরপাশাপাশিশরীরেরমেদকমাতেসহায়তা।। মাত্রএকমাসেইপার্থক্যটাবুঝতেপারবেন। (১২)
কিভাবেব্যবহারকরবেন?
দৈনিকটকদইএরসাথেস্বল্পপরিমানজীরাগুঁড়োমিশিয়েখেলেএকমাসবাদেইদেখতেথাকবেননিজেরজিন্সেরকোমরটাহালকাহতেশুরুকরেছে তাতেঅবশ্যআপনারখুশিবৈদুঃখহবেনা। জিন্সটাবড়হয়েগেলেওআপনারশরীরকিন্তুনির্দিষ্টশেপেআসতেশুরুকরবে।
৬) রক্তশূন্যতাদূরীকরণেজীরারভূমিকা
আমরাআগেইজেনেছি, জীরাহললোহারঅন্যতমউৎস। যারফলেএটিরক্তশূন্যতাদূরীকরনেগুরুত্বপূর্ণভূমিকাগ্রহণকরেথাকে। কেননাশরীরেহিমোগ্লোবিনবাড়ানোরজন্যলোহাহলএকটিঅন্যতমউৎকৃষ্টউপাদান, যাশরীরেঅক্সিজেনেরচলাচলবাড়িয়েশরীরকেকার্যকরীকরে। বর্তমানেআমরাঅধিকাংশমহিলাদেরক্ষেত্রেরক্তশূন্যতাদেখতেপাইবলাযায়। বর্তমানসমাজেরক্তশূন্যতাএকটিসামাজিকব্যাধিহয়েদাঁড়িয়েছে। তবেএটিখুবসহজেইপ্রতিকারকরাসম্ভব। জীরাবীজএরমধ্যেথাকাউপাদানগুলিশরীরকেপর্যাপ্তলোহাপ্রদানকরেহিমোগ্লোবিনেরপরিমাণবাড়াতেকরে। দৈনিকনির্দিষ্টপরিমানজীরাগ্রহণকরলেশরীরেরক্তেরপরিমাণখুবশীঘ্রইবৃদ্ধি।
কিভাবেব্যবহারকরবেন?
- দৈনিকখাদ্যতালিকায়থাকাবিভিন্নরান্না, খাবার, তরকারি, পরোটা, সুপএগুলিরমধ্যেজীরাবীজসরাসরিকিংবাজীরারগুঁড়োব্যবহারকরেশরীরেজীরাগ্রহণকরাযায়।
- তাইরান্নারসময়খেয়ালরাখবেনএকটুজীরারগুঁড়োআপনারশরীরেঅনেকটাকার্যকরীউপাদানহিসেবেব্যবহারহতেপারে
৭) গাঁটেব্যথাকমাতেজীরারব্যবহার
এখনকমবয়সেকিংবাবেশিবয়সেঅনেকেরক্ষেত্রেইআমরাদেখতেপাইশরীরেরবিভিন্নগিটেগিটেযেমনহাঁটু, কনুইবিভিন্নজায়গায়ব্যথাহতেদেখাযায়। এছাড়াওবাতেরব্যথাতোএখনএকটিঅন্যতমরোগহয়েদাঁড়িয়েছে। এটিকোননির্দিষ্টবয়সেরমধ্যেআরনেই। তবেবাতেরব্যথাকিংবাএধরনেরগাঁটেরব্যথাকমানোরক্ষেত্রেজীরারভূমিকা। গবেষণায়দেখাগিয়েছে, জীরাযেকোনোধরনেরপ্রদাহকমাতেগুরুত্বপূর্ণভূমিকানিয়েথাকে। জীরারমতোমসলাগুলিএইসমস্তব্যথাগুলিকেকমাতেসহায়তাকরে। দৈনিকখাদ্যতালিকায়এইমসলাগুলিরাখলেশরীরেরঅভ্যন্তরীণজ্বালাযন্ত্রণা, বেদনাকমাতেসহায়তাকরে।
কিভাবেব্যবহারকরবেন?
- বিভিন্নখাবারেরওপরজীরারগুঁড়োকিংবারান্নায়সরাসরিজীরারবীজব্যবহারকরতে।
- এছাড়াওফলেরসাথেওব্যবহারকরতেপারেন। এইজীরাশরীরকেভেতরথেকেসুস্থএবংসমৃদ্ধকরেতুলতেসহায়তাকরে।
৮) পেটেব্যথাকমাতেজীরারভূমিকা
Shutterstock
জীরাহলআমাদেররান্নাঘরেরএকটিঅত্যন্তসুপরিচিতমসলা। এরমধ্যেথাকাঅ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়ালএবংঅ্যান্টি-ভাইরালউপাদানগুলিশরীরেরযেকোনরোগজীবাণুধ্বংসকরতেসহায়তা। তাইপেটেযদিকোনধরনেরপরিপাকসম্পন্ননাহওয়ায়ব্যথাহয়সেক্ষেত্রেএইঅপাকেরব্যথাকমাতেজীরাসহায়তা। তাছাড়াওপেটেযদিগ্যাসহয়কিংবাযদিকোনব্যথারসৃষ্টিহয়কিংবাকোনরকমবুদবুদেরসৃষ্টিহয়সেক্ষেত্রেজীরাএইব্যথাকমাতেসহায়তাকরে। কেননাজীরাযেকোনোধরনেরপ্রদাহকমাতেগুরুত্বপূর্ণভূমিকাগ্রহণকরে।
কিভাবেব্যবহারকরবেন?
- পেটেগ্যাসেরসমস্যাহলেউষ্ণগরমজলেজীরাফুটিয়েনিয়েসেইজলকরতেপারেন।
- কিংবাজীরাগুঁড়োজলেমিশিয়েখেতেপারেনএটিতৎক্ষণাৎপেটেরগ্যাসকমিয়েপেটেব্যথাথেকেমুক্তি।
- এছাড়াও মাসিক সংক্রান্ত পেটে ব্যথার থেকেও জীরার গুঁড়ো মুক্তি দেয়।
- পেটের বুদবুদ কমিয়ে প্রস্রাব-এর মাধ্যমে তা বের করে দিতে সাহায্য করে।
৯) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জীরার ভূমিকা
জীরা ভেজানো জল শরীরে ইনসুলিন তৈরি করতে সহায়তা করে, যা শরীরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে জীরা ভেজানো জল ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুব কার্যকরী। দৈনিক খালিপেটে জীরা ভেজানো জল খেলে তা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে (১৩)। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অন্যতম একটি ঘরোয়া উপাদান হলো জীরা। এবং এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। জীরার মধ্যে থাকা উপাদানগুলি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদান করে, যা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও জীরা ডায়াবেটিসের জটিলতা থেকে শরীরকে মুক্ত করে। জীরার পাশাপাশি মৌরিও এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।(১৪)
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
এক গ্লাস জলে এক চামচ জীরা সারারাত ভিজিয়ে রাখবেন। দৈনিক ঘুম থেকে উঠে সকালে খালি পেটে জীরা ছেকে নিয়ে জীরা ভেজানো জলটা পান করবেন।
১০) মাসিক ঋতুচক্র প্রক্রিয়ায় জীরার ভূমিকা
কারো কারো ক্ষেত্রে মাসিক প্রক্রিয়া খুব বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে কিংবা সঠিক সময়ে মাসিক না হওয়ার একটি গুরুতর সমস্যা মহিলাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। তবে মাসিক প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে জীরার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। জীরার মধ্যে থাকা উপাদান গুলি অনেক স্বাস্থ্যকর। জীরা ভেজানো জল পান করলে এক্ষেত্রে মাসিক প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। জীরার মধ্যে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদানগুলি মাসিকের যন্ত্রণাকে কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকা লোহার আধিক্য মাসিক প্রক্রিয়ায় সঠিকভাবে রক্ত সরবরাহ করে মাসিক চক্র কে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে। এছাড়াও জীরা গ্রহণ করার ফলে শরীরের ভেতরে এক ধরনের উদ্দীপক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যা শরীরকে ভেতর থেকে গরম করে তোলে এবং মাসিক প্রক্রিয়াকে যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- অনিয়ন্ত্রিত মাসিক প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রিত রাখার জন্য প্রতিদিন সকালে জীরা ভেজানো জল পান করতে হবে।
- আগের দিন রাতে এক গ্লাস জলে দুই চামচ জীরা ভিজিয়ে রাখবেন। পরদিন সকালে উঠে ছেঁকে নিয়ে সেই জল পান করে নেবেন।
- এটি মাসিক প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি মাসিক প্রক্রিয়ায় হওয়া পেটে ব্যথাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে।
ত্বকের যত্নে জীরার উপকারিতা – Skin Benefits of Cumin in Bengali
প্রাচীন যুগ থেকেই ত্বকের যত্নে জীরার গুঁড়ো ব্যবহার হয়ে আসছে। জীরার গুঁড়ো ত্বককে যেকোনো ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে থাকে। এছাড়াও এটি ত্বকের বার্ধক্যজনিত সমস্যা, ব্রণ ও চুলকানি জ্বালাভাবের মতোন সমস্যাগুলির সমাধানে সহায়তা করে। এক নজরে জেনে নিন ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় জীরা কিভাবে কাজ করে এবং কিভাবে জীরার ব্যবহার করে ত্বককে আরও সুন্দর করে তোলা যায়।
১১) উজ্জ্বল ত্বক পেতে জীরার ব্যবহার
Shutterstock
জীরার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডিটক্সিফাইন উপাদান রয়েছে, যা কিউমিনালডিহাইড থাইমল এবং ফসফরাস জাতীয় উপাদান সমৃদ্ধ। প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় জীরার গুঁড়ো এবং জীরা রাখলে তা শরীরকে ভেতর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। যার ফলে একটি সুস্থ উজ্জ্বল ত্বক আমরা পেতে পারি। কেননা শরীর ভেতর থেকে পরিষ্কার থাকলে আমাদের মুখ পরিষ্কার থাকে। মূলত মুখকে শরীরের আয়না হিসেবে গণ্য করা হয়। একটি সুস্থ দাগহীন, উজ্জ্বল ত্বক সকলেই পেতে চায়। সেজন্য দৈনিক খাদ্যতালিকায় এমন কিছু উপাদান রাখুন যা ত্বককে ভেতর থেকে পরিশুদ্ধ করবে। সেই উপাদান গুলির মধ্যে অন্যতম হলো জীরা। জীরা ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর এবং স্বচ্ছ করে তোলে। জীরা মূলত লিভারের খেয়াল রাখে এবং যেকোন ধরনের খাবার সঠিকভাবে পরিপাকে সহায়তা করে। ত্বককে সুন্দর করে তোলে। এছাড়াও জীরার মধ্যে থাকা ভিটামিন এ আমাদের ত্বককে স্বাস্থ্যকর এবং সমস্যামুক্ত রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বক থেকে ব্রণ ও র্যাশের মতন সমস্যাগুলিকে দূর করে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- জীরা গুঁড়োর সাথে কিছু পরিমাণ গোলাপজল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন।
- এবার এই মিশ্রণটি ঘন করে ত্বকের সমস্যা জনিত জায়গায় লাগিয়ে রাখুন।
- এই ফেসপ্যাকটি ব্রণ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে।
- এছাড়াও গরম জলে জীরা দিয়ে সেটি ভাল করে ফুটিয়ে জীরা দেওয়া জলটি ত্বকে টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
- এই জীরার জলে কয়েক ফোটা টি ট্রি অয়েল যোগ করে ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন। যা একটি উজ্জ্বল সুন্দর ত্বক পেতে আপনাকে সহায়তা করবে।
১২) ত্বকের সমস্যায় জীরার ব্যবহার
ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে জীরার ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যেই জীরার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জেনে গিয়েছি। তবে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা অপরিসীম। ত্বকের যেকোনো ধরনের ব্রণ কিংবা ফাংগাল ইনফেকশন এর উপর জীরা গুঁড়ো গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজ করে। ত্বক পরিচর্যার ক্ষেত্রে জীরার গুঁড়ো ব্যবহার করলে কিছুদিনের মধ্যেই তা পার্থক্য বোঝা যায়। ত্বকে জ্বালা ভাব, লাল ভাব কিংবা রোদে পোড়া দাগ এই সমস্ত ক্ষেত্রে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এছাড়াও জীরার গুলোর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। এছাড়াও জীরা আবার ত্বকের ইনফেকশন থেকে ত্বককে রক্ষা করে। একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ত্বকে যদি জীরার ব্যবহার করা যায় তাহলে কিছু সময় পরেই ত্বকে সেই প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- এক চামচ জীরার গুঁড়োর মধ্যে গোলাপজল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন।
- এবার এই মিশ্রণটি ত্বকের সমস্যা জনিত অংশে লাগিয়ে রাখুন।
- ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর সাধারণ জল দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে নিন।
- এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এটি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
- দুই সপ্তাহেই ত্বক থেকে ব্রণর সমস্যা কিংবা ব্রণের দাগ লালভাব এগুলো দূর হয়ে যাবে।
১৩) বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূরীকরণে জীরার ভূমিকা
আমরা অনেকেই দেখি বয়স ৩০ পেরোনোর সাথে সাথেই ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করে অর্থাৎ ত্বকের বয়স বাড়তে শুরু করে। যেমন বলিরেখা, ফাইন লাইনস এর মতন সমস্যা গুলি চলে আসে। তবে সেগুলি আমাদের নজর এড়িয়ে অনেক সময় বেড়ে যায়। সমস্যাগুলো যখন বাড়তে থাকে তারপর সেগুলো আমাদের নজরে আসে। তাই ত্বকের যেকোনো ধরনের বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূরীকরণের ক্ষেত্রে জীরার ভূমিকা অপরিহার্য। জীরা গুঁড়োর নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যাগুলির সমাধান হতে পারে। জীরার মধ্যে থাকা ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলি বার্ধক্যজনিত সমস্যার সাথে লড়াই করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। এবং বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের উপস্থিতি থাকার জন্য এটি ত্বকের যেকোন সমস্যার সমাধান ঘটাতে সাহায্য করে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- জীরার গুঁড়ো দিয়ে প্যাক তৈরি করে সপ্তাহে একদিন লাগানোর চেষ্টা করুন।
- জীরার গুঁড়ো টকদইতে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে সপ্তাহে একদিন মুখে লাগান।
- পরিষ্কার ত্বকে মিশ্রণটি লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে মিশ্রণটি কুড়ি মিনিটের জন্য রেখে দিন।
- তারপর সাধারণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
- সপ্তাহে একদিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে একমাসেই ত্বকের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবেন। বলিরেখা কম হতে শুরু করবে।
১৪) ব্রণ কমাতে জীরার ব্যবহার
পেটের ভেতরে যদি সমস্যা থাকে তা মুখে প্রকাশ পেতে আমরা দেখতে পাই। তেমনই পেটের যাবতীয় সমস্যা মুখ দিয়ে বের হয়, সেটা ব্রণের আকারে। তাই পেট পরিষ্কার থাকলে মুখ পরিষ্কার থাকে এই বিষয়টা আমাদের সকলেরই জানা। খাদ্য সঠিকভাবে হজম হলেই আমাদের পেট পরিষ্কার থাকবে। যার ফলস্বরূপ মুখে এক উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যাবে। ভেতর থেকে এবং বাইরে থেকে জীরার ব্যবহার এর ফলে আমাদের ব্রণের সমস্যার থেকে আমরা রেহাই পেতে পারি। দৈনিক খাদ্য তালিকায় নির্দিষ্ট পরিমাণ জীরা রাখতে হবে, যা শরীরের ভেতরে খাদ্যকে যথাযথ হজম করতে সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি মুখের ব্রণের ওপর আমরা জীরার গুঁড়ো দিয়ে তৈরি প্যাক লাগাতে পারি। যা উপর থেকে ব্রণ কমাতে সাহায্য করবে। জীরার মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হওয়ায় এটি যে কোনো ধরনের ইনফেকশন জাতীয় সমস্যাগুলির সমাধানে সহায়তা করে। তাই এবার ত্বক পরিচর্যায় জীরার গুঁড়োর কথা কিন্তু একদম ভুলবেন না।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- জীরার গুঁড়ো নিয়ে তার মধ্যে অল্প পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
- এবার এটি ব্রণর ওপর লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- তারপর সাধারণ জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিন।
- সম্ভব হলে সপ্তাহে সাত দিন এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করুন দেখবেন এক সপ্তাহেই ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তার পরেও ব্রণের কালো দাগ নিয়ে চিন্তা? সেটিও এতে কমে যাবে।
১৫) ত্বকের চুলকানি রোধে এবং শরীরের তাপ কমাতে জীরার ভূমিকা
জীরার মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান সমূহ থাকার কারণে এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। ত্বকের উদ্দীপক অংশগুলোতে প্রলেপ লাগাতে পারলে সেখানে ইনফেকশন কমিয়ে ত্বককে শীতলতা প্রদান করে জীরা। তাই ত্বকে যেকোনো ধরনের চুলকানি কিংবা জ্বালাভাব রোধে জীরার ভূমিকা অনস্বীকার্য। এছাড়াও রোদে পোড়া ভাব বা চুলকানি কাটাতে জীরার ব্যবহার করা হয়।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- খাদ্য তালিকায় রোজ নির্দিষ্ট পরিমাণ জীরা রাখবেন।
- সকালবেলা খালি পেটে জীরা ভেজানো জল খেতে পারেন।
- এক গ্লাস জলে এক চামচ জীরা ভেজানো জল সকালে খাওয়ার পাশাপাশি ত্বকের যে সমস্ত জায়গায় চুলকানি হয়েছে সে সমস্ত জায়গায় লাগাতে পারলে খুব দ্রুতই এগুলির নিষ্পত্তি ঘটে এবং পুনরায় আগের মত মসৃণ ও সুন্দর হয়ে ওঠে।
১৬) ত্বকের জ্বালা ভাব কমাতে জীরার ব্যবহার
ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে জীরার উপকারিতা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আমরা অবগত হয়েছি। ত্বকের সব রকম সমস্যায় জীরার ভূমিকা অনস্বীকার্য। দীর্ঘক্ষন রোদে থাকার ফলে ত্বকে এক ধরনের জ্বালা ভাবের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ত্বকে ফাংগাল ইনফেকশন ঘটে। এই ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য জীরার ব্যবহার করতে পারেন। জীরা ভেজানো জল এই ত্বকের জ্বালাভাব যুক্ত অংশে লাগালে জ্বালাভাব কে যেমন প্রশমিত করে, তেমনি ওই জায়গায় যদি কোনরকম ফাংগাল ইনফেকশন হয় সেটা কমাতে সহায়তা করে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- দু’কাপ জল নিয়ে তার মধ্যে দু’চামচ জীরা নিন।
- এবার এটি ভালো করে ফুটিয়ে নিন।
- যাতে জলের পরিমান এককাপ হয়ে যায়।
- এবার এই জল ঠান্ডা করে স্প্রে বোতলে ভরে জ্বালাভাব যুক্ত অংশে স্প্রে করুন।
- দেখবেন জ্বালা ভাব কমার পাশাপাশি একটা ঠান্ডা ভাব জায়গাটায় হয়ে ত্বকে সুস্থতা প্রদান করবে।
চুলের জন্য জীরার উপকারিতা:
বর্তমানে চুলের সমস্যা সকলের মধ্যেই দেখা যায়। ছোট থেকে বড় সকলেই চুলের কোনো না কোনো সমস্যা নিয়ে ভুগতেই থাকে যেমন চুল পড়া, খুশকি, শুষ্ক চুলের সমস্যা ইত্যাদি। তবে এইসব কটা সমস্যা সমাধান হতে পারে আমাদের রান্নাঘরে হাতের কাছে থাকা একটি সহজলভ্য মসলার সাহায্যে। যদিও সেটি আমাদের আগে জানা ছিল না। খুব সহজেই জীরা দিয়ে চুল পড়া সমস্যার সমাধান করতে পারেন। এক নজরে দেখে নিন কিভাবে জীরার ব্যবহার করলে আপনার সমস্যাগুলির সমাধান চটজলদি করে নিতে পারবেন।
১৭) চুল পড়া কমাতে জীরার ভূমিকা
Shutterstock
জীরার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান বর্তমান রয়েছে যেগুলি চুলের বৃদ্ধিতে কিংবা চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ঘটাতে অনবদ্য। জীরার মধ্যে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন চুলে যথাযথ পুষ্টি প্রদান করে চুলকে বেড়ে উঠতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি চুলের ফলিকলে পুষ্টি জুগিয়ে চুলকে মজবুত এবং গোড়া থেকে শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে। আমাদের চুল বেড়ে ওঠার জন্য দৈনিক নির্দিষ্ট পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট এবং জলের প্রয়োজন হয়। যেগুলি আমরা যথাযথভাবে হয়তো প্রদান করে থাকি না কিংবা খাদ্যতালিকায় গ্রহণ করে থাকি না। অনেক সময় সঠিক খাদ্য না খাওয়ার ফলেও আমাদের চুলের সমস্যা বা চুল পড়ার মতন সমস্যা হতে পারে। তাই যদি একটা লম্বা চুল পেতে চান তাহলে ভিতর থেকে নিজেকে স্বাস্থ্যকর করতে তো হবেই। তার পাশাপাশি ওপর থেকে কিছু পরিচর্যার প্রয়োজন। তাই চুল পড়া কমিয়ে চুলকে বেড়ে তোলার জন্য জীরাকে আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- এক গ্লাস জলে দুই চামচ জীরা ভিজিয়ে সারারাত রেখে দিন।
- পরদিন সকালে উঠে আপনি যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন সেটি দিয়ে চুলটাকে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।
- এবার চুলটা ভালো করে ধুয়ে নিন।
- এবার চুল পরিষ্কার করে ধুয়ে নেওয়ার পর আগের দিন রাতে জীরা ভেজানো জল থেকে জীরা টাকে ছেঁকে নিয়ে জলটি সারা চুলে ঢেলে নিন।
- এরপরে আবার জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এটি চুলের কন্ডিশনারের কাজ করবে এবং চুলকে উজ্জ্বল করে তুলবে।
১৮) জীরা ব্যবহার করে খুশকি দূর করুন
হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনে কিংবা অতিরিক্ত তৈলাক্ত স্ক্যাল্পের কারণে আমাদের মাথার ত্বকে খুশকি সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত খুশকির ফলে চুল নষ্ট হতে থাকে কিংবা চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যেতে থাকে। এছাড়াও মাথার ত্বক নোংরা হওয়ার ফলে মাথার উপর উকুন বাসা বাঁধতে পারে। তাই খুশকির সমস্যা সমাধান করার জন্য জীরার ব্যবহার করতে পারেন। কেননা জীরার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান গুলি মাথার ত্বক থেকে ফাংগাল ইনফেকশন দূর করে মাথার স্কাল্পকে সুরক্ষিত রাখে এবং একটি পরিষ্কার স্ক্যাল্প প্রদান করে। এবার তাই খুশকি সমস্যার সমাধান করুন জীরার সাহায্যে। এক নজরে জেনে নিন কিভাবে খুশকির সমস্যার সমাধান করতে কিভাবে জীরার ব্যবহার করবেন?
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- একটি পেঁয়াজের থেকে রস তৈরি করে সেই রসের মধ্যে জীরার গুঁড়ো মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
- এবার এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে রেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- এরপর পরিষ্কার জল দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন।
- এই মিশ্রণটি ব্যবহার করার পরে শ্যাম্পু ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।
- তবে যদি পেঁয়াজের গন্ধ আসে মাথা থেকে সে ক্ষেত্রে শ্যাম্পু ব্যবহার করে নিতে পারেন।
- এটি ব্যবহার করার ফলে এক সপ্তাহেই খুশকির সমস্যার সমাধান অনেকটা হবে।
- সপ্তাহে তিন দিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন।
১৯) জীরার সাহায্যে চুল উজ্জ্বল করুন
দৈনন্দিন দৌড়ঝাঁপ কাজের চাপের মাঝে আমাদের চুলের দিকে নজর দিতে আমরা ভুলে যাই। সঠিকভাবে তেল লাগানো কিংবা শ্যাম্পু করা হয় তো হয়ে ওঠে না কিংবা তাড়াহুড়োর সময় হয়তো শ্যাম্পু করে বেরিয়ে যাই। সে ক্ষেত্রে যথাযথ পরিচর্যার সময় হয়ে ওঠে না, যার ফলে চুল রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে উঠে এবং নিষ্প্রাণ হয়ে ওঠে। তাই চুলকে উজ্জ্বল করে তুলতে চুলের পরিচর্যায় জীরার ব্যবহার করুন। আপনি যে প্যাকটি ব্যবহার করছেন তার মধ্যে কিছু পরিমাণ জীরার গুঁড়ো প্রয়োগ করুন যা চুলকে উজ্জ্বল করে তুলবে। জীরার মধ্যে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান গুলি হেয়ার ফলিকলকে ভেতর থেকে পুষ্টি জুগিয়ে উজ্জ্বল এবং সুন্দর করে তোলে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- আপনার চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী টক দই নিন।
- এবার এর মধ্যে এক চামচ জীরার গুঁড়ো মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
- এবার এই মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে ডগা অব্দি ভালো করে লাগিয়ে নিন।
- এরপর এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।
- তারপর আপনি যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন সেটি দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন।
- সপ্তাহে একদিন এই প্যাকটি মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন, চুল উজ্জ্বল এবং সুন্দর হয়ে উঠবে।
জীরার পুষ্টিগত মান – Cumin Nutritional Value in Bengali
জীরার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বায়ু এক্টিভ উপাদানগুলি রয়েছে। এরমধ্যে সক্রিয় অবস্থায় বিভিন্ন তেল এবং কোমিনালহাইড রয়েছে। এক নজরে দেখে নিন এক টেবিল চামচ জীরার থেকে আমরা কি কি পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকি? (১৫)
পুষ্টি | মান | ১ চামচ |
---|---|---|
পরিমান | ||
জল | গ্রাম | ০.১৭ |
শক্তি | কিলো ক্যালোরি | ৮ |
প্রোটিন | গ্রাম | ০.৪৭ |
কার্বোহাইড্রেট | গ্রাম | ০.৯৩ |
ফাইবার | গ্রাম | ০.২ |
চিনি | গ্রাম | ০.০৫5 |
মিনারেল | ||
ক্যালসিয়াম | মিলিগ্রাম | ২০ |
আয়রন | মিলিগ্রাম | ১.৩৯ |
ম্যাগনেসিয়াম | মিলিগ্রাম | ৮ |
ফসফরাস | মিলিগ্রাম | ১০ |
পটাসিয়াম | মিলিগ্রাম | ৩৮ |
সোডিয়াম | মিলিগ্রাম | ৪ |
জিঙ্ক | মিলিগ্রাম | ০.১ |
ভিটামিন | ||
ভিটামিন সি | মিলিগ্রাম | ০.২ |
থায়ামিন | মিলিগ্রাম | ০.০১৩3 |
রাইবোফ্ল্যাভিন | মিলিগ্রাম | ০.০০৭ |
নিয়াসিন | মিলিগ্রাম | ০.০৯৬ |
ভিটামিন বি ৬ | মিলিগ্রাম | ০.০০৯ |
ভিটামিন এ | ug | ১ |
ভিটামিন ই | IU | ২৭ |
টোকোফেরোল | মিলিগ্রাম | ০.০৭ |
লিপিড | ||
ফ্যাটি এসিড | গ্রাম | ০.০৩২ |
মোনো স্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড | গ্রাম | ০.২৯৫ |
পলি স্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড | গ্রাম | ০.০৬৯ |
জীরা ব্যবহারের বিভিন্ন উপায়: How to Use Cumin in Bengali
জীরার বীজ থেকে গুঁড়ো করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
১) বিভিন্ন তরকারি, সুপ সস তৈরি করে জীরা ব্যবহার করতে পারেন।
২) যদি সরাসরি জীরার বীজ বা জীরার গুঁড়ো খেতে না চান সে ক্ষেত্রে জীরার গুঁড়োর তৈরি ক্যাপসুল বাজারে পাওয়া যায় সেটি কিনে খেতে পারেন।
৩) এছাড়াও জীরার বীজ থেকে বিভিন্ন তেল তৈরি হয় যেগুলি চিকিৎসকরাও খাওয়ার পরামর্শ দেন। সে গুলি খেয়েও জীরার ঘাটতি মেটাতে পারেন।
৪) এছাড়াও সাদা জীরা ও কালো জীরা বিভিন্ন রান্নায় বা বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করতে পারেন।
৫) জীরার বীজ থেকে বিভিন্ন ধরনের জেল তৈরি হয়ে মার্কেটে পাওয়া যায়। সেগুলি ও খেতে পারেন।
৬) এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাধি থেকে প্রতিকার পাওয়ার জন্য জীরা দিয়ে তৈরি চা কিংবা জীরা ভেজানো জল খেতে পারেন। যেগুলি ওজন হ্রাস করার পাশাপাশি শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলে পেট পরিষ্কার রাখতে এবং শরীরকে ভেতর থেকে স্বচ্ছ রাখতে সহায়তা করবে।
এক নজরে দেখে নিন কিভাবে জীরা দিয়ে চা কিংবা জীরা জল কীভাবে তৈরি করবেন?
১) একটি পাত্রে দেড় লিটার জল নিয়ে সেটিকে ভালো করে ফুটান।
২) এবার তার মধ্যে দু’চামচ জীরার বীজ দিয়ে দিন।
৩) এবার উচ্চ আঁচে কুড়ি মিনিটের জন্য জীরার বীজ গুলিকে জলের মধ্যে সিদ্ধ করুন।
৪) এরপর আঁচ বন্ধ করে দিয়ে জলটি ঠান্ডা করে রাখুন।
৫) এবার এটি আপনি বোতলে করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন।
৬) প্রত্যেকবার খাবার আগে দিনে অন্তত তিনবার এটি খেতে পারেন। এটি পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করবে।
৭) এছাড়াও এক গ্লাস জলে এক চামচ জীরা ভিজিয়ে সারারাত রেখে দিন।
৮) পরদিন সকালে উঠে জীরা বীজগুলো ছেঁকে নিয়ে খালি পেটে সেই জল পান করুন।
৯) নিয়মিত খালি পেটে জীরা ভেজানো জল পান করলে পেট পরিষ্কার থাকবে এবং ওজন কমতে সহায়তা করবে।
১০) তবে যদি আপনার পছন্দ না হয় সেক্ষেত্রে সরাসরি জীরা বীজের ব্যবহার না করে জীরার গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন কিংবা জীরার গুঁড়ো সাথে ধনে গুঁড়ো কিংবা কারিপাতা মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে খাবারের মধ্যে ব্যবহার করতে পারেন।
জীরার অপকারিতা গুলো জেনে নিন: Side Effects of Cumin in Bengali
আমরা নিজেদের স্বাস্থ্য, চুল, ত্বক বিভিন্ন ক্ষেত্রে জীরার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। কিন্তু অতিরিক্ত জীরা খাওয়াও কিংবা জীরার ব্যবহার কিন্তু ভালো নয়। সে ক্ষেত্রে এর কিছু কিছু অপকারিতাও রয়েছে। (১৫)
১) গবেষণায় দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত জীরা খাওয়ার ফলে তা রক্তকে তরল করে দিতে পারে এবং অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে তা খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
২) এছাড়া রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে গিয়ে সে ক্ষেত্রে এক অন্যরকম ব্যাধির সৃষ্টি হতে পারে যার ফলে হঠাৎ ব্লাড প্রেসার কমে যেতে পারে।
৩) জীরা খুব স্বল্প পরিমাণে নির্দিষ্ট মাত্রায় দৈনিক ব্যবহার করা উচিত।
৪) জীরার তেল অতিরিক্ত ব্যবহার করলে তা মাঝারি জ্বালার সৃষ্টি হতে পারে।
৫) বিভিন্ন রকমের জীরা শরীরে বিভিন্নভাবে পরিপাক হয়। কালোজীরা, সাদা জীরা কিংবা সাধারণ জীরা সেটি একজনের শরীরে একেক রকম ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।
তাই আপনার শরীরে কতখানি জীরার প্রয়োজন, জীরা কিভাবে আপনার শরীরের কাজ করবে সেটা অবশ্যই বিশেষ কোনো কারণে ব্যবহার করার আগে কিংবা বিশেষ কোনো রোগের ক্ষেত্রে গ্রহণ করার আগে চিকিৎসক কিংবা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই ভালো।কেননা প্রত্যেকের শরীর সমান নয়, কারও শরীরে প্রয়োজন বেশি থাকতে পারে, কারও শরীরে কম। তাই সেটা ব্যবহারের আগে অবশ্যই পুষ্টিবিদ এর সাথে আলোচনা করে গ্রহণ করুন।
জীরা এমন একটি মসলা যেগুলি ভারতীয়দের পাশাপাশি আফ্রিকান এবং মধ্যপ্রাচ্যের সকল মানুষের রান্নাঘরেই পাওয়া যায়। এটি উষ্ণ এবং রান্নার মধ্যে আলাদা একটি সাধ প্রেরণ করে। এছাড়াও এর চিকিৎসাগত মান উন্নততর। জীরার বীজ এবং ক্যাপসুল গুলি হজমে সহায়তা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। নিয়মিত জীরা ভেজানো জল খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন হ্রাস হয়। এবার তাই জীরার ব্যবহার করে শরীরকে সুস্থ করে তুলতে চাইলে নির্দিষ্ট পরিমাণ জীরা দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখুন এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেটা গ্রহণ করুন। নিজেও সুস্থ থাকুন অপরকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করুন। এবং অবশ্যই পরবর্তী স্বাস্থ্যকর টিপস জানতে আমাদের সাথে থাকুন।