สารบัญ:
- ওজনকমানোরউপায়: วิธีลดน้ำหนักในภาษาเบงกาลี
- ১) রান্নাঘরেরপরিবর্তন
- ২) সকালেখালিপেটেমেথিজলপানকরুন
- ৩) গ্রিনটিপানকরুন
- ৪) ভারসাম্যপূর্ণখাবারখান
- ৫) আস্তেআস্তেচিবিয়েখান
- ৬) খাদ্যতালিকায়ফল, শাকসবজিএবংদানাশস্যজাতীয়খাবাররাখুন
- ৭) প্রতিবারখাবারেরসাথেপ্রোটিনগ্রহণকরুন
- ৮) একদিননিজেরসাথেপ্রতারণাকরতেইপারেন
- ৯) প্যাকেটজাত পানীয় বর্জন করুন
- ১০) অতিরিক্ত রন্ধন থেকে বিরত থাকুন
- ১১) রাতের খাবার ৭:৩০ টার আগে খান
- ১২) আপনার খাদ্য তালিকায় নজর দিন
- ১৩) নিজেকে হাইড্রেটেড রাখার চেষ্টা করুন
- ১৪) প্রতিটি পদক্ষেপ গণনা করুন
- ১৫) মন ভরে হাসুন
- ১৬) প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এড়িয়ে চলুন
- ১৭)ভাল করে ঘুমান
- ১৮) মেডিটেশন করুন
- ১৯) প্রেরণামূলক উক্তি পড়ুন
- ওজন কমানোয় ডায়েট এর ভূমিকা : Diet for Weight Loss in Bengali
- ১) ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ডায়েট প্রয়োজনীয় কেন?
- ২) আপনার ডায়েট চার্ট জানুন
- ৩) খাবার মাঝে বিরতি খুব বেশি দেবেন না
- রোগা হওয়ায় ব্যায়ামের ভূমিকা : Workout for Weight Loss in Bengali
- নিজেকে ভালোবাসুন এবং নিজের খেয়াল রাখুন :
বিশেষতমেয়েদেরওজননিয়েচিন্তারশেষনেই। বিয়েযাওয়ারআগেআপনারপছন্দেরগাউনটাবারকরেপড়তেগিয়েঅবাকহচ্ছেন, একিএটাসেদিনওতোঠিকইছিল? এখনহঠাৎটাইটকেনহচ্ছে? কিংবামেট্রোস্টেশনেদাঁড়িয়েট্রেনআসারঅপেক্ষাকরতেকরতেএকবারমনেহলওজনমাপারযন্ত্রেনিজেরওজনটাএকবারদেখে। আরতখনইচক্ষুচড়কগাছ? এমনহতেইপারে। যতইভাবছেনওজনসঠিকরাখবেন, ততইযেনদিনেদিনেওজনবেড়েচলে। শারীরিকগঠনএবংখাওয়া-দাওয়ারঅভ্যাসএরওপরমানুষেরশরীরেমোটাহয়েযাওয়ারপ্রবণতাকরেকরে আরতাইআমাদেরসকলকেইএকটানির্দিষ্টখাদ্যাভ্যাস, একটিসঠিকজীবনযাত্রারওপরনির্ভরকরেচলতেলাগে। তাইজেনেনিনকিভাবেখুবসহজেওজনকমিয়েআপনাকেরোগাকরেতুলবেনএবংওজনকমানোরজন্যকোনকোনখাবারগুলোআপনি। এছাড়াআরকিকিমেনেচলবেন? কেননামেদহীন, একটিতন্বীচেহারাআমাদেরসকলেরইস্বপ্নথাকে। আসুনতবেজেনেনিনরোগাহওয়ারকিছুসহজউপায়।
ওজনকমানোরউপায়: วิธีลดน้ำหนักในภาษาเบงกาลี
রোগাহওয়ারউপায়গুলিজানারআগেঅবশ্যইআপনাকেনিজেকেদৃঢ়প্রতিজ্ঞকরেতুলতেহবেযে, আমিঅবশ্যইএটিমেনেচলবো। নিজেকেসুন্দরছিপছিপেকরেতুলতেচাইলেওজনকমানোরউপায়গুলিমেনেচলুনএবংনিজেরপ্রয়োজনীয়খাদ্যাভ্যাসগড়ে।। ওজনকমানোরঅর্থাৎরোগাহওয়ারউপায়গুলিএকনজরেদেখেনিন:
১) রান্নাঘরেরপরিবর্তন
নিজেকেওজনকমিয়েসুন্দরকরেতোলারআগেএবংনিজেরখাদ্যাভ্যাসেপরিবর্তনআনারআগেঅবশ্যইআপনাররান্নাঘরেপরিবর্তনআনতে। হাতেরকাছেথাকাপ্রক্রিয়াজাতখাদ্যসামগ্রী, চিনি, দুধ, চকলেট, কার্বোহাইড্রেটজাতীয়খাবার, যেকোনোরকমেরজাঙ্কফুডএগুলোআগেসামনেথেকেসরিয়েফেলুন। কেননাখিদেরপেটেএইসমস্তজিনিষগুলিআমাদেরবেশিআকর্ষণকরে, তাইএগুলিনিজেরচোখেরসামনেথেকেদূরেরাখুন। সেইজায়গায়শাক, সবজি, ফল, দানাশস্য, গমেররুটি, প্রোটিনজাতীয়খাদ্যদ্রব্যআপনাররান্নাঘরেএবংফ্রিজেভালোকরেস্টককরেরাখুন। যাতেআপনারখিদেপেলেসেইসমস্তখাদ্যগুলিরদিকেআপনারহাতটাযায়এবংরান্নাঘরথেকেযেজিনিসগুলোবাদদিয়েদিয়েছেনসেগুলিরকথাএকেবারেইভুলেযান। কার্বোহাইড্রেটজাতীয়খাদ্য, প্রক্রিয়াজাতখাদ্য, উচ্চসোডিয়ামযুক্তখাবার, দুধ,চকলেটএগুলোযতপরিমাণেআপনিখাবেনসেগুলিওজনকমানোরপরিবর্তেআরোআপনারবাড়িয়েদেবে। যেকারণেএইধরনেরখাবারগুলিকেচোখেরসামনেথেকেদূরেরাখতেহবেমানেএগুলিকেএড়িয়েচলতে। যাতেআপনিসুষমখাদ্যগ্রহণকরতেপারেনআরসেইজন্যইসর্বপ্রথমরোগাহওয়ারউপায়হিসেবেআপনাকেরান্নাঘরেপরিবর্তনআনতে।
২) সকালেখালিপেটেমেথিজলপানকরুন
Shutterstock
রোগাহওয়ারউপায়গুলিরমধ্যেঅন্যতমহলোসকালবেলাখালিপেটেমেথিরপানকরা। আগেরদিনরাতেএককাপজলেদুইচামচমেথিভিজিয়েরাখুন। পরদিনসকালেমেথিছেঁকেনিয়েজলটাপানকরুন। মেথিরবীজশরীরেরবিপাকক্রিয়াকেউন্নতকরে, যারফলেসকালেএইমেথিরভেজাজলখাওয়ারফলেসারাদিনআপনিযাখাবারখাবেনসেটিদ্রুতহজমহয়েযাবেএবংবিপাকপ্রক্রিয়াসুষ্ঠুভাবেসম্পন্নহবে। এছাড়াওসকালবেলামেথিরজলপানকরারফলেএটিশরীরথেকেটক্সিনবেরকরেদিতেকরে। তাইআপনারদিনেরশুরুটাযদিসুস্থএবংস্বাস্থ্যসম্মতহয়, সারাটাদিনওআপনারশরীরভালোযাবেএবংওজনকমানোরজন্যএটিঅত্যন্তগুরুত্বপূর্ণএকটিপদ্ধতি। দিনেরশুরুটাআপনারওজনকমানোরক্ষেত্রেঅনেকাংশেনির্ভরকরে।
৩) গ্রিনটিপানকরুন
গ্রিনটিহলএকটিঅ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্তপানীয়, যাশরীরথেকেটক্সিনরিমুভকরতেএবংপেটেরচর্বিকমাতেসহায়তাকরে। দিনেঅন্ততদুইথেকেতিনবারযদিগ্রিনটিপানকরতেপারেনতাহলেএকসপ্তাহেপ্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ ক্যালরিআপনারশরীরথেকেহ্রাসপাবে তাইসকালেব্রেকফাস্টএরসাথেএবংবিকেলবেলাস্নেকটাইমেএককাপকরেগ্রিনটিপানকরুন এটিশরীরেরমেদকমানোরপাশাপাশিআপনারত্বকেরউজ্জ্বলতাপ্রদানকরবে। যারফলেত্বকসহজেআর্দ্রতাহারাবেনাএবংশরীরসুস্থথাকবে। ওজনকমানোরউপায়গুলিরমধ্যেগ্রিনটিপানএকটিগুরুত্বপূর্ণঅধ্যায়। এইটিকেভুলেগেলেচলবেনা। এটিঅবশ্যইআপনারদৈনন্দিনজীবনেরঅঙ্গকরেতুলুন।
৪) ভারসাম্যপূর্ণখাবারখান
Shutterstock
তাড়াতাড়িরোগাহওয়ারজন্যখাদ্যতালিকাথেকেফ্যাটএবংকার্বোহাইড্রেটকেএকেবারেবাদদিয়েদিলেন, কেবলমাত্রপ্রোটিনজাতীয়খাদ্যগ্রহণকরলেন; এটিকখনোকরবেননা। কেননাশরীরেরজন্যসবধরনেরখাদ্যউপাদানইপ্রয়োজনীয়। হ্যাঁ, কিছুঅন্ততবাদদিতেহবে। তবেআমাদেরশরীরেরক্ষেত্রেভালোকার্বোহাইড্রেটএবংভালোফ্যাটএরপ্রয়োজনআছে। তাইনিজেরখাবারএমনভাবেখানকিংবাখাদ্যতালিকাএমনভাবেপ্রস্তুতকরুনযেখানেপ্রয়োজনীয়পরিমাণেকার্বোহাইড্রেট, প্রোটিনওফ্যাটতিনটিইউপস্থিতথাকে। আপনারখাদ্যতালিকায়এইতিনটিখাদ্যউপাদানসঠিকমাত্রায়থাকলেতাশরীরেরভারসাম্যবজায়রেখেশরীরকেপ্রয়োজনীয়শক্তিসরবরাহকরেএবংশরীরেরঅনাক্রমতাবাড়াতেসাহায্যকরবে। এরপাশাপাশিসুস্থভাবেস্বাস্থ্যেরউন্নতিঘটাবে। যারফলেশরীরথেকেচর্বিকমেগেলেওআপনারশরীরসুস্থএবংপ্রাণোজ্বল। কারণরোগাহতেগেলেশরীরেসবধরনেরখাদ্যউপাদানেরপ্রয়োজন। কোনোটারপরিমাণকম,কোনোটারবেশি। তাইসেইকথামাথায়রেখেনিজেরদৈনন্দিনআহারগ্রহণকরুন। কেননাওজনকমানোরটিপসেকখনোইকার্বোহাইড্রেটওফ্যাটজাতীয়খাবারবাদদেওয়ানা।
৫) আস্তেআস্তেচিবিয়েখান
গবেষণায়লক্ষ্যকরাগিয়েছেযে, আপনিযতধীরেধীরেখাবারচিবিয়েখাবেনআপনারক্যালরিকতপরিমানখরচহতেথাকবে। কেননাআস্তেআস্তেচিবিয়েখেলেতাশরীরকেবেশিখাবারখেতেবাধাদেয়এবংমস্তিস্ককেএকটানির্দেশনাপ্রেরণকরেযেআমারপেটভর্তিহয়েগেছে। এছাড়াওএটিপাচনপ্রক্রিয়াকেসহায়তাকরে। কেননাআপনিখাবারযতধীরেধীরেচিবিয়েখাবেনসেটাখুবদ্রুতহজমসহায়তাকরবে। এছাড়াওকোনখাবারযদিপ্রতিবারমুখে ৩৫ থেকে ৫০ বারচিবিয়েখাওয়াযায়এতেআপনারমুখেরমেদওযেমনকমতেথাকবে, এরপাশাপাশিখাবারটিওভালোকরেমিশিয়েআপনারপেটেযাবে। যাআপনারহজমশক্তিকেআরোউন্নতকরবে। তাইরোগাহতেগেলেঅবশ্যইআপনিযেখাবারটিখাচ্ছেনসেটিভালোকরেচিবিয়েখানএবংখেতেবসেতাড়াহুড়োনাকরেধীরেধীরেসময়নিয়েখাবারটিখান। এটিআপনারশরীরকেহজমেসহায়তাকরবেএবংশরীরেরওজনকমাতেসাহায্যকরবে। ওজনকমানোরঘরোয়াউপায়গুলিরমধ্যেএটিঅন্যতম।
৬) খাদ্যতালিকায়ফল, শাকসবজিএবংদানাশস্যজাতীয়খাবাররাখুন
Shutterstock
ওজনকমানোরটিপসমেনেরোগাহতেগেলেঅবশ্যইআপনারখাদ্যতালিকারদিকেদিতেহবে। আরসেইতালিকায়খাবারগুলিআপনারযেমনপছন্দসইহতেহবেতেমনইতোআপনারশরীরেরজন্যপ্রয়োজনীয়হতেহবে ওজনকমানোরক্ষেত্রেখাদ্যতালিকায়প্রোটিনজাতীয়খাদ্য, কমক্যালরিযুক্তফল, সবজিএবংদানাশস্যজাতীয়খাদ্যবেশিমাত্রায়রাখতেহবে। এছাড়াওপ্রতিদিনতিনটিআলাদারকমেরফল, ৫ টিআলাদাধরনেরশাকসবজিএবংফাইবারসমৃদ্ধখাবারখেতেহবে। একারণেআপনিখাদ্যতালিকায়ব্রাউনরাইস, বাদামিপাউরুটি, পপকন,বার্লিরমতোগোটাদানাশস্যগুলিঅন্তর্ভুক্তকরতেপারেন। এটিআপনারশরীরকেপ্রয়োজনীয়ফাইবারসরবরাহকরবে। এইধরনেরখাদ্যগুলিগ্রহণকরারফলেআপনারপেটঅনেকক্ষণভর্তিমনেহবেএবংকিছুক্ষণবাদেবাদেখিদেপাবে। যারফলেআপনারউল্টোপাল্টাখাবারপ্রবণতাটাওকমবেএবংশরীরনিজেরপ্রয়োজনীয়কমাতেপারবে। ওজনকমানোরখাবারগুলিরমধ্যেএইগুলিরকথাঅবশ্যইমাথায়রাখবেনযাআপনারশরীরকেএকটিনির্দিষ্টগঠনদিতেসাহায্য।
৭) প্রতিবারখাবারেরসাথেপ্রোটিনগ্রহণকরুন
দিনেকমপক্ষেতিনটিবড়মিলএবংতিনটিছোটমিলরাখতেচেষ্টাকরুনএবংপ্রতিবারইখাবারসময়কিছুপরিমাণপ্রোটিনজাতীয়খাদ্যখাওয়ারচেষ্টাকরুন। চর্বিহীনপ্রোটিনজাতীয়খাবারগুলিযেমনটকদই, বাদামেরমাখন, ডিম, মটরশুঁটি, মাংসেরছোটছোটঅংশএগুলিখাদ্যতালিকায়রাখারচেষ্টাকরুন। কিংবাযেকোনধরনেরসেকএরমাধ্যমেশরীরেপ্রোটিনজাতীয়খাদ্যগ্রহণ। কেননাওজনকমানোরসময়শরীরেযথাযথপরিমাণেপ্রোটিনজাতীয়খাদ্যসরবরাহকরতে। কারণএটিশরীরকেসচলরাখারপাশাপাশিশরীরকেপরিশ্রমকরারপ্রয়োজনীয়শক্তিসম্পাদনথাকে। এছাড়াপ্রোটিনজাতীয়খাদ্যমেদকমাতেসহায়তাকরে। তাইওজনকমানোরক্ষেত্রেখাদ্যতালিকায়প্রোটিনজাতীয়খাবারবেশিপরিমাণেগ্রহণকরারকরুন। খাদ্যগ্রহণেরসময়অবশ্যইওজনকমানোরএইটিপসটিমাথায়রাখুন।
৮) একদিননিজেরসাথেপ্রতারণাকরতেইপারেন
একনাগাড়ে ডায়েট চার্ট মেনে খাবার খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে গেছেন কিংবা একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছেন মনে হচ্ছে? এটি যাতে না হয় সেই কারণেই সপ্তাহে ছদিন সুষম খাদ্য গ্রহণ করলেও একটি দিন প্রতারণার দিন হিসেবে অর্থাৎ ‘চিট ডে’ হিসেবে রাখতে পারেন। এই দিনটি আপনার মনের খুশিতে আইসক্রিম, ফুচকা, কোল্ড ড্রিংকস, এগরোল, বিরিয়ানি যা খুশি খেতে পারেন। এই দিন আপনাকে কেউ বাধা দেবে না। কেননা এই একদিন আপনি বাইরের খাবার গ্রহণ করার ফলে শরীর একটু অন্য খাবার গ্রহণ করতে সক্ষম হবে। যার ফলে শরীরেরও একঘেয়ে মনে হবে না। যে কোনো কাজই আমরা যদি প্রতিনিয়ত একভাবে করে থাকি সেক্ষেত্রে আমাদের বিরক্ত যেমন আসে শরীরেরও তেমনি একই ধরনের সাদামাটা খাবার খেয়ে খেয়ে বিরক্ত আসতেই পারে। সেই জন্য ডায়েট অনুসরণ করার সময় অবশ্যই একটি ‘চিট ডে’ রাখবেন। না হলে আপনার কষ্ট করে করা ডায়েটটি হয়তো কার্যকর নাও হতে পারে। তাই ওজন কমাতে গিয়ে বাইরের খাবারকে একেবারেই না করবেন না। একটা দিন রাখুন যেদিন আপনি নিজের পছন্দ মতন খাবার খাবেন।
৯) প্যাকেটজাত পানীয় বর্জন করুন
ওজন কমাতে গিয়ে প্যাকেটজাত পানীয় ভুলেও কিন্তু খেতে যাবেন না। কিংবা হঠাৎ করে ইচ্ছা হল বলে ক্যালোরি বিহীন কোল্ড্রিংসের ক্যান একদম খেতে যাবেন না। কেননা ওগুলি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। এটাকে প্যাকেটজাত পানীয়গুলি ক্যালোরিবিহীন দাবি করলেও এই গুলিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরে উপকারের বদলে অপকারই করে। এমন কি এগুলো আপনার শরীরের ওজন না কমিয়ে বৃদ্ধিতে অংশগ্রহণ করবে। তাই যদি ফলের রস খেতে হয় সেটা বাড়িতে বানিয়ে খান। এছাড়া এই ধরনের প্যাকেটজাত পপানীয় গুলিতে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এগুলি অতিরিক্ত পান করলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া এগুলি কত দিনের আগেকার তৈরি তা সঠিক জানা যায় না বলে এগুলির তাজা ভাব নিয়েও সন্দেহ থাকে। তাই ফলের রস খেতে হলে অবশ্যই বাড়িতে মিক্সার এটা তৈরি করে নিন। এটি যেমন স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর এবং শরীরের জন্য যথাযথ।
১০) অতিরিক্ত রন্ধন থেকে বিরত থাকুন
ওজন কমানোর খাবার তৈরি করার সময় সেগুলি অতিরিক্ত রন্ধন করা থেকে বিরত থাকুন। কেননা খাদ্য উপাদান গুলির অতিরিক্ত রন্ধন প্রক্রিয়ার ফলে সেগুলি নিজেদের পুষ্টিগুণ হারাতে পারে। সে কারণে আপনি যে জন্য খাচ্ছেন সেই কারণটাই হয়তো পূরণ হলো না অর্থাৎ যে পুষ্টি গুলি শরীরকে দেওয়ার জন্য আপনি খাবারগুলো খাচ্ছেন সেগুলো হয়তো কার্যসিদ্ধি হলো না। কিংবা শরীর সেই প্রয়োজনীয় উপাদান গুলি গ্রহণ করতে পারল না। তাই কোন রান্নাই বেশিক্ষণ করবেন না। হালকা ভাবে করার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত রান্না করার ফলে খাদ্য উপাদান গুলি পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়, সেগুলি জাঙ্ক খাবারের মতন হয়ে যেতে পারে। তাই ভাপে পদ্ধতিতে কিংবা গ্রিল করে, বেকড করে যেকোনো ধরনের খাবার ওজন কমানোর জন্য আপনি খেতে পারেন। এতে শরীর তার পুষ্টি তাও পাবে এবং আপনার খেতেও ভালো লাগবে। খুব বেশি মসলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে দিনে তিনবার বড় মিল গুলি নেওয়ার সময় অবশ্যই চার পাঁচটি ফল সবজির মিশ্রনে স্যালাড গ্রহণ করুন এবং রঙিন শাকসবজি খাদ্যতালিকায় রাখুন। এগুলি আপনার মনকে যেমন ভালো রাখবে তেমনি আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সচেষ্ট হবে। তাই ওজন কমানোর জন্য খুব বেশি রান্না এড়িয়ে চলুন।
১১) রাতের খাবার ৭:৩০ টার আগে খান
খাদ্য তালিকা তৈরীর সময় অবশ্যই মাথায় রাখবেন প্রত্যেকটা খাদ্যের মাঝে যেন দু’ঘণ্টার একটি বিরতি থাকে এবং রাতের শেষ খাওয়া অর্থাৎ ডিনার যাতে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার আগেই হয়ে যায় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। খুব বেশি যদি খিদে পায় সে ক্ষেত্রে ঘুমোতে যাবার আগে মাখন তোলা দুধ কিংবা গ্রিন টি খেতে পারেন। তবে রাতের খাবারটা সেটি অবশ্যই সাড়ে সাতটার মধ্যে শেষ করবেন। কেননা ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত। খেয়ে ঘুমোতে যাওয়া একদমই উচিত নয়। এর ফলে খাবার গুলো সঠিক ভাবে হজম হতে পারে না এবং রাত্তিরবেলা সেগুলি পেটের মধ্যে জমে থেকে পেটে এক ধরনের বাড়তি মেদ সৃষ্টি করে। সুতরাং খাবার ৩ ঘণ্টা আগে যদি রাতের খাবারটা সেরে নেওয়া যায় তারপর গল্পের বই পড়ুন, টিভি দেখুন, বা যেকোন হালকা কাজ আপনি করে নিতে পারেন। যার ফলে ঘুমাতে যাওয়ার আগেই সেই খাবারটি হজম হয়ে যাবে। তাই যদি খিদে পেয়ে যায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে সে ক্ষেত্রে এক কাপ গ্রিন-টি কিংবা অল্প মাখন তোলা দুধ কিংবা জল খেয়ে আপনি সেই সামরিক ক্ষুধাটা নিবারণ করতে পারেন। অথবা আপনি যদি খাওয়া থেকে রাত্রিবেলা বিরত থাকতে চান সে ক্ষেত্রে তখন দাঁত ব্রাশ করে নিন, এতে খিদের যে ইচ্ছাটা সেটা আপনি ভুলে যাবেন এবং আপনি সুস্থ এবং স্বাস্থ্যকর থাকতে পারবেন এবং ওজন কমানোর বিষয়ে আপনি আর এক ধাপ এগিয়ে যাবেন। ওজন কমানোর জন্য এই ঘরোয়া উপায় গুলি অবলম্বন করুন দেখবেন খুব দ্রুতই আপনার পছন্দের পোশাক টা আপনি পড়তে পারছেন।
১২) আপনার খাদ্য তালিকায় নজর দিন
আপনি সারাদিন কি ধরনের খাবার খাচ্ছেন কিংবা আপনার খাদ্য তালিকার খাদ্য গুলির দ্বারা আপনার শরীরের প্রয়োজন মিটছে কিনা সেই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখবেন। কেননা ওজন কমাতে গিয়ে যদি কোন রকম খাবারের পরিমাণ কমে যায় সে ক্ষেত্রে ওজন কমার পাশাপাশি আপনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাবেন এবং শরীরের অনাক্রমতা ক্ষমতাও লোপ পাবে এবং শরীর অসুস্থ হয়ে উঠবে। তাই শরীরকে সুস্থ সম্মতভাবে তন্বী করে তোলার জন্য রোগা হওয়ার উপায় গুলি অবলম্বন করার পাশাপাশি অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকায় নজর দিতে হবে। যাতে খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেল জাতীয় উপাদান গুলি সঠিক মাত্রায় থাকে। যা আপনার শরীরকে সুস্থ এবং স্বাস্থ্যকর করে তুলবে। আর নিজেকে স্বাস্থ্যকর রাখলে আপনি যেমন অন্য একজনের প্রেরণা হবেন তেমনি আপনার মন ভালো থাকবে নিজেকে সুস্থ দেখে। এর পাশাপাশি ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম করতে ভুলবেন না যেন।
১৩) নিজেকে হাইড্রেটেড রাখার চেষ্টা করুন
Shutterstock
ওজন কমানোর উপায় গুলি অবলম্বন করার পাশাপাশি যে বিষয়টি আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, একটি সুষম খাদ্য তালিকা যেমন প্রয়োজন, তেমনি সঠিক জীবনযাত্রা এবং ব্যায়াম আপনাকে আপনার পুরনো চেহারা ফেরত দিতে পারে। কিন্তু সেই সঙ্গে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে যেমনি খাবারগুলো খাচ্ছেন তার পাশাপাশি দৈনিক ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল আপনাকে খেতে হবে। সঠিক পরিমাণে জল পান করলে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় টক্সিন বের হয়ে যেতে যেমন সাহায্য করবে তেমনি খারাপ জিনিসগুলিও জল এর মাধ্যমে আপনার শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। তাই দৈনিক যারা কঠোর পরিশ্রম করেন মোটামুটি চার থেকে পাঁচ লিটার জল খেতে হবে। অন্যথায় যারা সাধারন পরিশ্রমী কিংবা কম পরিশ্রমী দৈনিক তাদের ৩ লিটার করে জল পান করতে হবে। কেননা ওজন কমানোর উপায় গুলির মধ্যে অন্যতম একটি উপায় হলো জল পান। শরীরে যদি জল পানের পরিমাণ কম দেখা যায় সে ক্ষেত্রে আপনি ক্লান্ত বোধ করতে পারেন কিংবা শরীর অবসন্ন থাকতে পারে। এর পাশাপাশি এর প্রভাব আপনার বিপাক প্রক্রিয়াতেও পড়তে পারে। যার ফলে শরীর থেকে চর্বি কমার বদলে সেটা বেড়ে যেতে পারে। প্রয়োজনীয় জল না খেলে যে খাদ্য গুলি আপনি খাচ্ছেন সেটি আপনার বিপাক ক্রিয়াকে সচল করতে পারবে না, যার ফলে আপনার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সেটি বাধা দান করবে। তাই ঘরোয়া উপায়ে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে নিজেকে রোগা করতে গেলে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় জলের পরিমাণটা নির্দিষ্ট রাখুন। প্রয়োজন হলে ফোনে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন কখন কতটা পরিমাণে জল আপনি গ্রহণ করবেন। সেটি যাতে আপনার মনে থাকে, সে কারণে। কেননা সঠিক মাত্রায় জল গ্রহণ না করলে আপনার শরীর আর্দ্রতা হারাবে এবং শুষ্ক হয়ে উঠবে যার ফলস্বরূপ আপনার ওজন কমাতে এটি বাধা দান করবে। মেয়েদের ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এটি একটি প্রয়োজনীয় উপায়।
১৪) প্রতিটি পদক্ষেপ গণনা করুন
দৈনিক ব্যস্ততার মাঝে কিংবা কাজের চাপে আমরা হয়তো ভুলেই যাই আমাদের হাঁটাচলাটাও খুব প্রয়োজনীয়। সে ক্ষেত্রে যদি সময় করে মর্নিং ওয়াক, ইভিনিং ওয়াকে যেতে না পারেন আপনার কাজের মধ্যেই আপনি আপনার প্রয়োজনীয় হাঁটা টা কিন্তু সেরে ফেলতে পারেন। একভাবে অফিসে বসে কাজ করতে করতে একঘেয়ে হয়ে যেতেই পারেন, তাই কাজের মাঝে ৩০ মিনিট অন্তর অন্তর যদি পাঁচ মিনিটের জন্য হাঁটাচলা করে নেন কিংবা বাড়িতে থাকাকালীন একভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা না বসে যদি এক ঘন্টা পর পর পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট ঘরের মধ্যে হাঁটা চলার অভ্যাস গড়ে তোলেন তাহলে এটি আপনার শরীরকে আরো সচল করে তুলবে এবং আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও অফিসে যাওয়া, স্কুল পৌঁছানোর ক্ষেত্রে যদি ছোটখাটো যানবাহনের ব্যবহার না করে আপনার দুটো পাকে এই কাজে লাগান এক্ষেত্রে আখেরে লাভ আপনারই। অফিসে ওপরে সিঁড়ি ভেঙ্গে ওঠার জন্য লিফটের ব্যবহার বন্ধ করুন, দিয়ে হেটে যান। এর ফলে আপনার শরীর ভালো থাকবে। অফিস থেকে এসে সম্ভব হলে একটু ইভিনিং ওয়াক করুন কিংবা আপনার পোষা প্রাণীকে নিয়ে একটু বাইরে ঘুরে আসুন। এতে আপনার মনটা যেমন পরিবর্তন হবে তেমনি আপনার শরীরটা ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল হয়ে উঠবে। এবং চেষ্টা করুন সারা দিন আপনি কয়বার হাঁটলেন সেই পদক্ষেপগুলি গোনার। সম্ভব না হলে মোটামুটি একটি হিসাব করে নিন, আপনি কতটা হাঁটলে পরে সেটি আপনার শরীরের পক্ষে ভালো। কেননা শরীরকে যতটা সচল রাখবেন আপনার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এটা আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। তাই ওজন যদি সত্যিই কমাতে চান রোগা হতে গেলে মেয়েদের ওজন কমানোর উপায় গুলির মধ্যে অবশ্যই হাঁটাচলা করতে হবে।
১৫) মন ভরে হাসুন
Shutterstock
অবাক হচ্ছেন তো? ভাবছেন ওজন কমানোর ক্ষেত্রে হাসির ভূমিকা কি? ওজন কমাতে হাসির ভূমিকা সর্বাগ্রে। এটি ওজন কমানোর অন্যতম একটি ঘরোয়া উপায়। কেননা একটি সুস্থ মনই একটি সুস্থ শরীর গঠন করতে পারে। এছাড়াও দৈনিক যদি একটি নির্দিষ্ট সময় করে হাসা যায় এটি আপনার হার্ট রেট কে সঠিক রাখে এবং শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এছাড়াও আপনার শরীরের পেশিগুলিকে এক ধরনের টান অনুভব করে, যেগুলি আপনার শরীরকে সুস্থ এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও হাসির মধ্য দিয়ে দৈনিক প্রায় কিছু ক্যালোরি কমানো যায় যেটি আপনাকে রোগা করে তুলতে অত্যন্ত সহায়তা করবে। তাই দিনে ১০ থেকে ১৫ মিনিট আপনি যদি সময় করে হাসতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার ৫০ ক্যালোরি মত আপনার শরীর থেকে কমতে পারে। বছরের শেষে যেটা গিয়ে দাঁড়ায় চার থেকে পাঁচ পাউন্ড। সুতরাং এই ফ্যাটই আপনি বিনা পরিশ্রমে কেবলমাত্র মনকে খুশি দিয়েই কিংবা হেসেই কমাতে পারে। তাই আর এখন ভাবছেন কেন? ডায়েটিং ছাড়াই আপনি বছরে চার থেকে পাঁচ পাউন্ড ওয়েট কমাচ্ছেন কেবলমাত্র হেসে। তাহলে আর অপেক্ষা কিসের? দিনে একটা নির্দিষ্ট সময় বার করে নিন হাসার জন্য এবং নিজেকে খুশি রাখার জন্য। এই কারণেই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে হাসির গুরুত্ব অনেক।
১৬) প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এড়িয়ে চলুন
বাজারজাত যেকোনো ধরনের প্রক্রিয়াজাত কিংবা প্যাকেটজাত খাদ্য গুলি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কেননা এই ধরনের খাদ্য গুলি চটজলদি তৈরি করা গেলেও এর মধ্যে স্বাস্থ্যকর কোন পুষ্টিগুণ থাকে না। বরং এটি শরীরে বাড়তি ফ্যাট প্রদান করে যেগুলি আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই ঘরে তৈরি খাবার তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং বাইরের খাবার গুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। তবে একেবারে বন্ধ না করে এগুলো আপনি আপনার ‘চিট ডে’তেও খেতে পারেন। একদিন যদি এগুলি খান সে ক্ষেত্রে বাকি ৬ দিনের সেই ক্যালোরিটা পূরণ হয়ে যাবে। কিন্তু দৈনিক খাবার তালিকা থেকে এই ধরনের প্যাকেটজাত খাবার গুলি কে বাদ দিন এবং দৈনিক কম ক্যালরিযুক্ত পুষ্টিকর খাওয়া গুলিকে নিজের খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এগুলি আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমিয়ে রোগা হতে সাহায্য করবে।
১৭)ভাল করে ঘুমান
Shutterstock
নিজেকে সুস্থ রাখতে ওজন কমিয়ে রোগা করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে দিনে ঘুমটা ঠিকমত পূরণ করতে হবে। এটি ওজন কমানোর জন্য একটি অন্যতম ঘরোয়া উপায়। কেননা শরীর একটি যন্ত্রের মত,এর প্রয়োজন বিশ্রামের সেই কথাটা ভুলে গেলে চলবে না। তাই শরীরকে বিশ্রাম দিন। দিনে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। যারা ৪ ঘন্টা কিংবা ৬ ঘণ্টা ঘুমান সে ক্ষেত্রে তাদের শরীরে মেদের পরিমাণ অত্যধিক লক্ষ্য করা যা।য় তাই শরীরকে বিশ্রাম দিন এবং দিনে ৮ ঘণ্টা নিশ্চিন্তে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে কোন ধরনের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এ কাজ করবেন না। এটি আপনার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে কিংবা ঘুমের ক্ষতি করতে পারে। সে জন্য আপনি ঘুমানোর জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিন। যে সময়টি আপনি ভালভাবে ঘুমাতে পারবেন। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি শরীর কিন্তু তখন তার ক্ষত নিরাময়ের কাজগুলি সেরে ফেলে এবং পাচন ক্রিয়া সম্পন্ন করে। সারাদিন ধরে যে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট জাতীয় খাবার গুলি আপনি গ্রহণ করলেন সেই খাদ্যগুলির পাচন প্রক্রিয়াটাকে যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করে। তাই ঘুম যদি কম হয় সে ক্ষেত্রে হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে কিংবা ইনসুলিনের পরিমাণ শরীরে বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। তাই রাতে সঠিক পরিমাণে ঘুমান। মোট ৮ ঘন্টা ঘুমালে এটি আপনার ওজন কমাতেও সাহায্য করে আপনাকে রোগা করে তুলবে। কেননা রাতে ভালো ঘুম না হলে এটি আপনার শরীরে মেদ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
১৮) মেডিটেশন করুন
দিনের শুরুতে ভোরবেলা অন্তত ১০ মিনিট মেডিটেশন করুন। কেননা আমাদের জীবনের মানসিক চিন্তা, স্ট্রেস কিংবা বিভিন্ন চাপ, বিষণ্ণতা ইত্যাদি নানান ধরনের নেতিবাচক আবেগ আমাদের শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। যার ফলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে এবং ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে ইতিবাচক চিন্তা ধারা করতে হবে। এজন্য নিজের মনকে শান্ত করুন এবং রোজ সকালবেলা ১০ মিনিট করে মেডিটেশন করুন। দৈনিক মেডিটেশন করার ফলে শরীর তার প্রয়োজনীয় অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারবে। কেননা যদি আমরা অত্যধিক চিন্তা বা স্ট্রেস এর মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করি সে ক্ষেত্রে শরীর তার প্রয়োজনীয় অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না, যার ফলে শরীরের সর্বাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন ঠিক ভাবে হয় না। ফলস্বরূপ আমাদের ওজন বৃদ্ধি হয়। তাই নিজেকে সুস্থ এবং রোগা করে তুলতে অবশ্যই দৈনিক ১০ মিনিট করে মেডিটেশন করুন। এবং ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এটি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
১৯) প্রেরণামূলক উক্তি পড়ুন
ওজন কমানোর জন্য ডায়েটিং ছাড়াও বেশ কয়েকটি বিষয় আছে যেগুলি আমরা মেনে চললে আমাদের খুব সহজেই ওজন কমবে। তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রেরণামূলক উক্তি পড়া। দৈনিক যদি আপনি বেশি মাত্রায় ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা করেন কিংবা নিজেকে প্রেরণা দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি ওজন কমাতে সচেষ্ট হবেন। ডায়েট করার পাশাপাশি আপনি যে কাজটি দিনে পছন্দ করেন সে খেলাধুলা হোক ছবি আঁকা হোক সেই কাজটি করার চেষ্টা করুন এবং আপনার ঘরের বিভিন্ন কোণে সেই কাজটি সম্পর্কে নিজের লেখা বিভিন্ন ধরনের প্রেরণামূলক উক্তি লিখে রাখুন। এটি দৈনিক যখন আপনার চোখে পড়বে, আপনার মনে এক ধরনের প্রেরণা সৃষ্টি হবে। যার ফলে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই আপনি ডায়েটিং ছাড়াও কিছু পরিমান ওজন কমাতে সচেষ্ট হবেন এবং দৈনিক এই কাজটি করতে করতে আপনার দৈনন্দিন জীবনে অভ্যাসে পরিণত হবে। তাই নিজের শরীরকে সুস্থ করে তুলতে এবং নিজেকে ওজন কমিয়ে রোগা করে তুলতে অবশ্যই প্রেরণামূলক উদ্ধৃতিগুলি লেখার এবং পড়ার অভ্যাস করুন।
ওজন কমানোয় ডায়েট এর ভূমিকা: Diet for Weight Loss in Bengali
Shutterstock
ওজন কমানোর জন্য আমাদের মাথায় প্রথম যে বিষয়টি আসে সেটি হলো আমাদের খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। আর এটি হলো প্রথম ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমাদের ভুল পদক্ষেপ। কেন না রোগা হতে গেলে অর্থাৎ ওজন কমাতে গেলে আমাদের খাওয়া টাকে আরও বাড়াতে হবে, আর এটাই হল ওজন কমানোর মূল উপায়। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। তবে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকা যাতে সুষম খাদ্য দ্বারা পরিপূর্ণ হয় সেই বিষয়টিকে মাথায় রাখতে হবে। ওজন কমাবো বলে এই নয় খাবার দাবার তালিকা থেকে সব খাবার বাদ দিয়ে কেবল সারাদিন কাঁচা শাকসবজি খাচ্ছি কিংবা ফল খাচ্ছি। রোগা হতে গেলে আমাদের সর্বপ্রথম প্রয়োজন আমাদের শরীর অনুযায়ী একটি উন্নত ডায়েট চার্ট এবং তা অবশ্যই একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডায়েটিশিয়ানের থেকে তৈরি করে নেওয়া উচিত, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে। কেননা ওজন কমাতে গিয়ে যাতে আপনার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি না হয় সেই বিষয়টিকে খেয়াল রাখবেন। শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হলে আপনি দুর্বল হয়ে যাবেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে এবং অবশেষে শরীর রোগে জরাজীর্ণ হবে। তাই জেনে নিন ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ডায়েটের ভূমিকা কি?
১) ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ডায়েট প্রয়োজনীয় কেন?
ওজন কমানোর খাবার গুলির মধ্যে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যাতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেলস সব ধরনের খাবার আপনার খাদ্যতালিকায় থাকে এবং রোগা হতে গেলে অবশ্যই আপনার একটি নির্দিষ্ট খাদ্য তালিকা করে নিতে হবে। যেই তালিকায় আপনার শরীরের উপযোগী সঠিক খাদ্য থাকবে। রোগা হব মানে এই নয় খাদ্য তালিকা থেকে কার্বোহাইড্রেট ফ্যাট সম্পূর্ণরূপে বাদ দিয়ে দেব, কেননা ওজন কমাতে গেলে আমাদের শরীরে বেশ কিছু ভালো কার্বোহাইড্রেট কিংবা ভালো ফ্যাট এর প্রয়োজন আছে। তাই আপনার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী একটি ডায়েট চার্ট তৈরি করে নিন। যেখানে আপনি কী কী খাবেন আর কী কী খাবেন না তা স্পষ্ট থাকবে। এর পাশাপাশি আপনার শরীরে অন্যান্য কোন যদি সমস্যা থাকে সেই বিষয়গুলির কথা মাথায় রেখেই আপনার ডায়েট চার্ট তৈরি হবে। সেটি যেকোনো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডায়েটিশিয়ানের থেকে আপনি তৈরি করে নিতে পারেন অথবা ইন্টারনেট দেখেও ক্যালোরি গুনে নিয়ে আপনি সেটি তৈরি করতে পারেন।
২) আপনার ডায়েট চার্ট জানুন
ওজন কমানোর জন্য ডায়েট চার্ট তৈরির ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনার শরীরের জন্য কত পরিমান কিংবা কত ক্যালরির খাদ্য প্রয়োজন সেটা জানুন। এজন্য বি এম আর ক্যালকুলেটর এ আপনার বয়স, উচ্চতা এবং শারীরিক ওজন এবং আপনি দৈনিক কতটা পরিশ্রম করেন সেই বিষয়টি নথিভুক্ত করলেই আপনার দৈনিক কত পরিমান খাদ্য প্রয়োজন সেটি আপনি পেয়ে যাবেন। তবে সাধারনত একজন কম পরিশ্রমী মহিলার দৈনিক ১৫০০ থেকে ২০০০ ক্যালরি খাদ্য প্রয়োজন এবং একজন পুরুষের ক্ষেত্রে এই পরিমাণটা ২০০০ থেকে ২৫০০ ক্যালোরি। এবার পরিশ্রমের ওপর নির্ভর করে এই পরিমাণটা কখনো বৃদ্ধি পায় কিংবা কখনো কমে। তাই সবার প্রথমে আপনার কত পরিমান ক্যালরি প্রয়োজন সেটি আপনি জানুন। এর পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাদ্য বেশিরভাগ রাখার চেষ্টা করুন। কেননা খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত প্রোটিন রাখলেই তা ওজন কমাতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি দিনের শুরুতে একটি পানীয় পান করুন যেটি আপনার শরীর থেকে মেদ কমাতে সহায়তা করে। সে ক্ষেত্রে আপনি ওজন কমানোর উপায় গুলি অবলম্বন করলে আপনি অনেকটা সাহায্য পাবেন। এর পাশাপাশি সমস্ত ধরনের পুষ্টি উপাদানের সমন্বয়ে একটি নিজের জন্য খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করুন।
৩) খাবার মাঝে বিরতি খুব বেশি দেবেন না
প্রত্যেকটি খাবারের মাঝে অন্তত দু’ঘণ্টার বিরতি দিন। এই দু ঘন্টা অন্তর অন্তর একবার বড় মিল এবং একবার ছোট মিল নিন। সেই মতন আপনার খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করে নিন, যে সারাদিন কি কি খাদ্য কোন কোন সময় আপনি খেতে পছন্দ করবেন। কেননা পেট যদি বেশীক্ষণ খালি থাকে সে ক্ষেত্রে খিদের প্রবণতা বৃদ্ধি পায় আর খিদে পেটে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা সকলের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। যার ফলে শরীরে মেদ জমতে সৃষ্টি হয়। কেননা শরীর তার প্রয়োজনীয় খাবার সংগ্রহ করার পর বাকিটা পেটে চর্বি হিসেবে জমতে শুরু করে। তাই খাবার মাঝে দু ঘণ্টা করে বিরতি দিন এবং পরবর্তী আহারটা সময় মত গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। বাড়িতে থাকুন’ কিংবা বাইরে এই খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার চেষ্টা করুন। এটি তাহলে খুব সহজে আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করবে। এই ভাবে যদি এক মাস আপনি সব দিক ঠিক মতন পালন করে চলতে পারেন এক মাস বাদেই ওজন মাপার যন্ত্রে আপনি চমৎকার টা লক্ষ্য করতে পারবেন। তখন নিজেরই নিজেকে দেখে আরো ভালো লাগবে। তাহলে সেই দিনটির জন্য অপেক্ষা করুন আর রোজ দৈনিক খাদ্য তালিকা এবং শারীরিক চর্চা সঠিক ভাবে করুন, যাতে খুব কম সময়ে ওজন কমিয়ে নিজেকে রোগা করে তুলতে পারেন।
রোগা হওয়ায় ব্যায়ামের ভূমিকা: Workout for Weight Loss in Bengali
আমরা জানি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমাদের ৮০% সহায়তা করে ডায়েট এবং ২০% সাহায্য করে ব্যায়াম। তাই দৈনিক কিছু পরিমাণ শারীরিক চর্চা আমাদের করা প্রয়োজন। যদি দৈনিক জিমে যাওয়া সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে ঘরে বসেই কিছু কিছু ব্যায়াম এবং ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ আপনি করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি প্রত্যেক সপ্তাহে বেশ কিছু পরিমাণ ওজন কমাতে সচেষ্ট হবেন। ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমানোর পাশাপাশি এটি আপনার মনকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। কেননা ওজন কমিয়ে আমরা সকলেই নিজেকে সুন্দর করে দেখতে চাই, আর সে কারণে শরীর যদি সুস্থ থাকে তাহলে মন ভালো থাকে। এর পাশাপাশি দৈনিক ডায়েট এবং শরীর চর্চা করলে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা পালন করা যায়। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হয় দৈনিক ডায়েট করার পাশাপাশি অন্তত ৩০ মিনিট শরীর চর্চা করা। এতে আপনার শরীরের প্রত্যেকটি পেশিতে রক্ত সঞ্চালন সক্রিয় হয়ে উঠবে এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি সক্রিয় হয়ে উঠবে। দিনে অন্তত ১০ মিনিট ভোর বেলায় খালি পেটে হাঁটা এবং ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা সম্ভব হলে তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ঘরে বসে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কয়েকটি যোগা এবং ব্যায়াম করুন তার মধ্যে অন্যতম হলো পুশ আপ, সুইমিং দৌড়ানো এ।র পাশাপাশি প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে কিংবা ইন্টারনেট দেখে যোগা করতে পারেন। যেটি আপনার শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখবে এবং শরীরের পেশি গুলিতে রক্ত সঞ্চালনে ত্বরান্বিত করবে।
নিজেকে ভালোবাসুন এবং নিজের খেয়াল রাখুন:
ওজন কমাতে গিয়ে কিংবা রোগা হওয়ার তাগিদে আমরা সাধারণত বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি, যার ফলে শরীরকে ভালোবাসতে ভুলে যাই। তখন আমাদের তাগিদ হয় একমাত্র ওজন কমানো। বলা যায় এটি একটি মরণফাঁদ। যার ফলে শরীরের ওজন কমলেও শরীর কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই আপনি যদি সত্যিই নিজেকে ভালবাসেন শরীরের ওজন কমানোর পাশাপাশি, রোগা হওয়ার পাশাপাশি নিজের সুস্থতার দিকে নজর দেবেন অর্থাৎ নিজেকে আয়নার সামনে সুন্দর রোগা দেখতে চাইলে অবশ্যই নিজেকে এবং নিজের শরীরকে ভালোবাসার চেষ্টা করুন এবং সেটাকে যত্ন করার চেষ্টা করুন। কেননা কোনরকমে একটা ডায়েট চার্ট ফলো করে কিংবা চটজলদি ওজন তো কমিয়ে নিলেন কিন্তু তার কিরূপ খারাপ প্রভাব আপনার শরীরের ওপর পড়তে পারে সেটি সম্পর্কে আপনার ধারনা নাও থাকতে পারে। হঠাৎ করে ওজন কমলে সে ক্ষেত্রে শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর তার প্রভাব পড়ে এবং শারীরিক স্বাস্থ্য যদি খারাপ হয় সে ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য কিন্তু জর্জরিত হয়ে ওঠে। তাই রোগা হওয়ার তাগিদে এমন কিছু করবেন না যা আপনার শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ওজন কমাতে হবে বলে এই নয় সেটা শরীরকে ক্ষতি করে বা শরীরকে আঘাত করে। তাই আপনি রোগা হওয়ার ক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায় গুলি অবলম্বন করার পাশাপাশি নিজেকে অবশ্যই এমন ভাবে বোঝান যে, শরীরকে আমায় ভালবাসতে হবে। কেননা শরীর যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে সে ক্ষেত্রে ওজন কমিয়ে আখেরে ক্ষতি আপনারই। তাই নিজেকে ভালবাসুন, নিজের খেয়াল রাখুন, ওজন কমানোর প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করুন এবং স্বাস্থ্যসম্মতভাবে যাতে আপনাকে বাইরে থেকে সুন্দর দেখানোর পাশাপাশি আপনার ভেতরটা যেন সুন্দর এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
ঘরোয়া উপায়ে ওজন কমানোর পদ্ধতি গুলি তো আমরা জেনে নিলাম। এবার আমাদের কাজ হল দৈনিক সেগুলি যথাযথভাবে এগুলি মেনে চলা। কেননা দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততার জীবনে এক দুদিন এই রুটিন মেনে চলে তিনদিনের দিন অনেকেই আমরা এর মাঝে বিরতি দিয়ে ফেলি, সেই জিনিসটা মাথায় রাখতে হবে সপ্তাহের ছয়দিন নিজেকে সুন্দর তন্বী করে তোলার জন্য সুষম আহার গ্রহণ করতে হবে, শরীরচর্চা করতে হবে এবং পরিমিত পরিমাণে জল পান করতে হবে। তাই নিজেকে সুন্দর করার তাগিদে এমন কিছু করবেন না যা আপনার শরীরের ওপর কু প্রভাব ফেলে। সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন, ভালো থাকুন, রোগা হবার উপায় গুলি মেনে চলুন। অবশ্যই এর ফলাফল খুব শীঘ্রই আপনি ওজন যন্ত্রে দেখতে পাবেন কিংবা আয়নায় দেখতে পাবেন। আর সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো যেই পছন্দের ড্রেসটা আপনি বিয়ে বাড়িতে পড়ে যেতে পারছিলেন না, সেইটা এবার নির্দ্বিধায় পড়ে সুন্দরভাবে আপনি সকলের সামনে নিজেকে উপস্থিত করতে পারবেন। তাই আর অপেক্ষা কিসের আজ থেকেই শুরু করে দিন নিজেকে সুন্দর করার লড়াই এবং মেনে চলুন ওজন কমানোর উপরিউক্ত ঘরোয়া উপায় গুলি।
আপনার কি জানা আছে আরো কোনো রোগা হওয়ার উপায়? তাহলে জানান আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে।